Credit: Pixabay

গত এক মাস ধরে মাঙ্কি জ্বরের (Monkey Fever) সমস্যা ব্যাপক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগের প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করছে, সমস্ত মানুষকে নিরাপত্তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মাঙ্কি জ্বরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে কর্ণাটক। রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় মামলা রয়েছে ১০০র বেশি। কার্যকর টিকা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) এর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

মাঙ্কি জ্বর, যা কিসানুর ফরেস্ট ডিজিজ (KFD) নামেও পরিচিত, প্রাণী থেকে সংক্রমণ হতে পারে মানুষের মধ্যে। বনাঞ্চলে বসবাসকারীরা, যেখানে বানরের সংখ্যা বেশি, এই সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বেশি হতে পারে। বানরের শরীরে টিকটিকির কামড়ের কারণে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর কোনও প্রমাণ নেই।

মাঙ্কি জ্বর হলে সংক্রমণের ইনকিউবেশন সময় তিন দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, মাথাব্যথা এবং তীব্র ক্লান্তি হতে পারে। রোগের বিকাশের সঙ্গে এর লক্ষণগুলির মধ্যে বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এবং বিভ্রান্তি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কিছু পরিস্থিতিতে, নাক এবং মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঙ্কি জ্বরের হওয়ার পর সময়মতো যত্ন না নেওয়া হলে এটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যর্থতার কারণও হতে পারে‌। এই ধরনের ঝুঁকি এড়াতে, এটি সময়মত চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যে মাঙ্কি জ্বরের সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে, তাই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়ে সতর্ক হওয়া দরকার সকলের। গত এক মাস এই রোগটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যে। সমস্ত মানুষের জন্য এর লক্ষণগুলি সম্পর্কে জানা এবং নিরাপদ থাকার ব্যবস্থা নিয়ে অবগত থাকা দরকার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঙ্কি ফিভারের নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। যেসব এলাকায় মাঙ্কি জ্বরের ঝুঁকি বেশি বা স্থানীয় এলাকায় সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।