
বর্তমান যুগে অল্প বয়সেই চুল ধূসর হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে খুব অল্প বয়সেই চুলে রং ব্যবহার করতে বাধ্য হয় মানুষ। বাজারে এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা চুলের রং তৈরি করে যা চুলের রং পরিবর্তন করার পাশাপাশি চুলের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করতে সক্ষম। কিন্তু এই রাসায়নিক রঙের কারণে অনেক ক্ষতিকারক সমস্যাও দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ঘরের তৈরি চুলের রং ব্যবহার করা যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিটরুটের সাহায্যে চুলের রং তৈরি করার পদ্ধতি এবং চুলের জন্য বিটরুট ব্যবহারের উপকারিতা সম্বন্ধে বিস্তারিত।
চুলে বিটরুটের হেয়ার কালার ব্যবহার করলে চুলের কোনও ক্ষতি হয় না। বিটরুটে আয়রন, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চুলকে শক্তিশালী করে। এটি চুলের রং পরিবর্তন করার পাশাপাশি চুলের রং মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অনেকে পদ্ধতিতে বিটরুটের হেয়ার কালার তৈরি করা সম্ভব। প্রথম পদ্ধতি হল বিটরুট এবং অ্যালোভেরা। চুল শুষ্ক হলে সাধারণ চুলের রঙের পরিবর্তে, বিটরুটের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি চুলকে আর্দ্র রাখে। এটি তৈরি করার জন্য ২টি বিটরুটের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিতে হবে। এর জন্য বিটরুট সিদ্ধ করে এর রস বের করে নিয়ে এতে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিতে হবে।
বিটরুট ও অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় এবং লম্বায় লাগিয়ে নিয়ে ২ ঘন্টা রেখে জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এটি চুলে প্রাকৃতিক লাল রঙের আভা দিতে সাহায্য করে। দ্বিতীয় পদ্ধতি হল বিটরুট ও গাজর। চুলে হালকা লাল-বারগান্ডি রঙের জন্য বিটরুট ও গাজরের মিশ্রণ জরুরি। এর জন্য বিটরুটের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে গাজর এবং নারকেল তেল। হালকা লাল-বারগান্ডি রং তৈরি করার জন্য বিটরুট এবং গাজর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে মিক্সারে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ঘন রস বের করে ১ চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি ব্রাশ দিয়ে চুলে লাগিয়ে ১ ঘন্টা রেখে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি চুল হালকা লাল রঙ পাবে।