দিল্লি, ৩১ জুলাই: কেরলের (Kerala) ওয়েনাড়ে (Wayanad) প্রবল ভূমিধ্বসের জেরে একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। ওয়েনাড়ে ১৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে নিখোঁজ বহু। কেরলে একযোগে কাজ শুরু করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলাকারী বাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী। কোথায়, কতজন এখনও পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন, সে বিষয়ে জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া দফতরের তরফে আগে থেকেই কেরলের বৃষ্টি নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয় বলে খবর। কেরলের একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়। পাশাপাশি ১ অগাস্টও কেরলের একাধিক জায়গায় ভারি থেকে অতি অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে বলেও সতর্কতা জিরা করা হয়।
ওয়েনাড়ে যেভাবে ভূমিধ্বস (Landslide) শুরু হয়, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লোকসভায় আলোচনা চান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) । পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও শরণার্থী শিবিরে যান, দুর্গতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে।
আরও পড়ুন: Weather Update: আতঙ্কের কেরলে ফের ভারী বৃষ্টির চোখ রাঙানি, ভয়ে সিঁটিয়ে মানুষ
এসবের সঙ্গে কেরলের পিনরাই বিজয়ন সরকারকে কার্যত কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, গত ২৩ জুলাই বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলকে কেরলে পাঠানো হয়। বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল কেরলে পৌঁছলেও, বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের তরফে আগে থেকেই কেরল সরকারকে সতর্ক করা হলেও, সে বিষয়ে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন শাহ। দুর্যোগের ৭ দিন আগেই কেন্দ্রের তরফে কেরল নিয়ে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করা হয় বলে দাবি করেন শাহ।