Greeshma, Sharon Raj (Photo Credits: X)

তিরুবনন্তপুরম, ২০ জানুয়ারিঃ আরজি কর-কাণ্ডে সোমবার দোষী সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy) ফাঁসির সাজা দেননি শিয়ালদহ আদালতের বিচারক। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে। এদিন ফাঁসির সাজা থেকে সঞ্জয় মুক্তি পেলেও সুদূর কেরলে (Kerala) এক তরুণীকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। বাড়িতে ডেকে বিষ খাইয়ে প্রেমিককে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত তরুণী গ্রীশ্মাকে (২৪) মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে কেরলের জেলা আদালত।

সোমবার তিরুবনন্তপুরমের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি তিনি এও উল্লেখ করেছেন, এই ক্ষেত্রে দোষীর বয়স বিবেচনা করা হবে না।

কে গ্রীশ্মা? কেন ফাঁসির সাজা দেওয়া হল তাঁকে?

২০২২ সালের ঘটনা। সেই বছর ১৪ অক্টোবর যৌন ঘনিষ্ঠতার অজুহাতে গ্রীশ্মা তাঁর প্রেমিক শরণ রাজকে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী জেলার রামবর্মঞ্চিরাইতে নিজের বাড়িতে ডাকেন। সেদিন আয়ুর্বেদিক একটি পানীয়ের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে শরণকে খাইয়েছিলেন তরুণী। ১১ দিন ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মারা যান যুবক। শরণের মৃত্যু তদন্তে বিষক্রিয়ার তথ্য উঠে আসে। এই ঘটনার পর টানা ২ বছর ধরে চলে খুনের মামলা। অবশেষ ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি, শুক্রবার প্রেমিক শরণ রাজকে খুনের অপরাধে বছর চব্বিশের তরুণী গ্রীশ্মাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে তিরুবনন্তপুরমের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত। আজ সোমবার বিচারপতি ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন দোষীকে। প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানতে প্রেমিককে খুন করা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।

আদালত খুনের জন্য অপহরণ, বিষপ্রয়োগ করে খুন, খুন, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে গ্রীশ্মাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। শরণকে খুনে সাহায্য করেছিলেন তরুণীর মা এবং মামা। গ্রীশ্মার মামা নির্মল কুমারকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। নির্মলের বিরুদ্ধে অপরাধে সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করা এবং প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। তবে গ্রীশ্মার মা সিন্ধুকুমারী এই মামলায় তথ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।