নতুন দিল্লি, ১৭ জানুয়ারি: কড়া প্রহরার মধ্যে দিয়ে বাড়ানো হল নির্ভয়া ধর্ষণ এবং খুনে অপরাধীদের নিরাপত্তা। এমনকি তাদের তিহাড় জেলের ৩ নম্বর কক্ষে স্থানান্তরিতও করা হল। ফাঁসির মঞ্চ এই কক্ষ থেকে খুব বেশি দূরে নয়। ওইটুকু ছোট্ট জেলের মধ্যে রাখা হয়েছে দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা। অপরাধীদের কক্ষের বাইরে প্রহরার জন্য রাখা হয়েছে দুই থেকে তিনজন রক্ষী।
শুক্রবার জেল কর্তৃপক্ষ দোষীদের আইনগত প্রতিকার সম্পর্কিত তথ্য দাখিল করবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন অভিযুক্ত পবন, অক্ষয় এবং মুকেশকে ২ নম্বর কক্ষে রাখা হবে। আরেক অপরাধী বিনয়কে ৩ নম্বর কক্ষে রাখা হবে। বৃহস্পতিবার দিল্লি আদালত তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে চারজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নির্ধারিত মৃত্যুদণ্ডের স্থিতি সম্পর্কে যথাযথ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন, নির্ভয়ার ধর্ষক খুনি মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করল দিল্লির সরকার
গত বুধবার নির্ভয়ার ধর্ষক ও খুনিদের ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছে দিল্লি হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার অপরাধী মুকেশের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেয় দিল্লির সরকার (Delhi Government)। এবার প্রোটোকল মেনে আবেদন পৌঁছে দেওয়া হয় লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজালের কাছে। লেফটেন্যান্টের হাত হয়ে মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন পৌঁছয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। নিম্ন আদালতের জারি করা মৃত্যু-পরোয়ানা চ্যালেঞ্জ করে বুধবার ফের দিল্লি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিল মুকেশ সিং৷
তার আবেদনের শুনানি চলাকালীনই তিহাড় জেলের তরফে দিল্লি সরকারের অতিরিক্ত স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল রাহুল মেহরা জানান, ২২ জানুয়ারি ফাঁসির সাজা কার্যকরী করা কার্যত অসম্ভব বলে জানায়। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী সব আইনি পন্থার শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হওয়ার পরেও ন্যূনতম ১৪ দিন সময় দিতে হয়৷