নতুন দিল্লি, ৬ জানুয়ারি: বুধবার নির্ভয়ার ধর্ষক খুনিদের ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছে দিল্লি হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার অপরাধী মুকেশের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লির সরকার (Delhi Government)। এবার প্রোটোকল মেনে আবেদন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজালের কাছে। লেফটেন্যান্টের হাত হয়ে মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন পৌঁছাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। নিম্ন আদালতের জারি করা মৃত্যু-পরোয়ানা চ্যালেঞ্জ করে বুধবার ফের দিল্লি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিল মুকেশ সিং৷ তার আবেদনের শুনানি চলাকালীনই তিহাড় জেলের তরফে দিল্লি সরকারের অতিরিক্ত স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল রাহুল মেহরা জানান, ২২ জানুয়ারি ফাঁসির সাজা কার্যকরী করা কার্যত অসম্ভব। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী সব আইনি পন্থার শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হওয়ার পরেও ন্যূনতম ১৪ দিন সময় দিতে হয়৷
এদিকে ২২ জানুয়ারি ফাঁসির সাজা কার্যকর করা যখন অসম্ভব ঠিক তখনই মুকেশ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানালেও বাকি তিন অপরাধী এখনও তেমন আর্জি পেশ করেনি৷ এর পাশাপাশি অক্ষয় ও পবন নামে দুই অপরাধী শীর্ষ আদালতে কিউরেটিভ পিটিশনও দায়ের করেনি৷ একইভাবে প্রাণভিক্ষার আজ্রি পেয়েও কোনও উত্তর এখন দেননি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাই ২২ জানুয়ারি নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসি হচ্ছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে দোষী সাব্যস্তদের আইনজীবী কে পি সিং আগেই জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে ৪ দোষী সাব্যস্তের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করা হবে না। সেইমতো এখনও প্রর্যন্ত প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেছে কেবলমাত্র মুকেশ সিং। বাকি এখনও তিন জন। প্রসঙ্গত, প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে গেলে ফাঁসির জন্য আরও ১৪ দিন সময় দিতে হয় আসামীকে। সেক্ষেত্রে ফাঁসি হবে ২৯ জানুয়ারি। তবে দিল্লি হাইকোর্টের পথেই হাঁটল সরকারও। আরও পড়ুন-Nirbhaya Case: নির্ভয়ার ধর্ষকদের নিস্তার নেই, ২২ জানুয়ারি ফাঁসি বহাল রাখল দিল্লি হাইকোর্ট
2012 Delhi gang-rape case: Delhi Government has rejected the mercy plea of Mukesh, one of the convicts in the case. The mercy plea was then forwarded to Lieutenant Governor, who has now sent it to Union Ministry of Home Affairs.
— ANI (@ANI) January 16, 2020
যদিও বুধবারের সকালের চিত্রটা আলাদাই ছিল। ২২ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে (Nirbhaya Case) আসামিদের ফাঁসি হবে না। দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) জানায় দিল্লি সরকার। কারণ, আসামিদের মধ্যে একজন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার (Mercy Petition) আবেদন করেছে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের পর অন্তত ১৪ দিন সময় দিতে হয় অপরাধীদের। সেই নিয়মেই ২২ তারিখ চার জনকে ফাঁসি দেওয়া যাবে না বলে জানায় দিল্লি হাইকোর্ট। বিনয় শর্মা, মুকেশ কুমার, অক্ষয় কুমার সিং এবং পবন গুপ্তাকে ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় তিহাড় জেলে ফাঁসি দেওয়ার নির্দেশ দেয় দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট।