সুরাত, ৭ মার্চ: নিষিদ্ধ সংগঠন সিমি-র (SIMI) সদস্য হওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১২২ জনকে। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারাধীন বন্দী হিসেবে জেলে ছিলেন। অবশেষে মিলল মুক্তি। আদালত তাঁদের বেকসুর খালাস করেছে। ঘটনাটি গুজরাতের সুরাতের (Surat)। ২০০১ সালে একটি সভায় অংশ নেওয়ার জন্য ইউএপিএ (UAPA) আইনের আওতায় তাঁদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গতকাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এন ডেভের বেঞ্চ প্রত্যেককেই খালাস করে দিয়েছে। বিচার চলাকালীন ৫ জনের মৃত্যু হয়। না হলে তাঁরাও আজ আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেতেন।
আদেশে আদালত বলেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সিমির সদস্য ছিল এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম প্রচার করতে জড়ো হয়েছিল তা প্রমাণের জন্য প্রসিকিউশন শক্তপোক্ত, নির্ভরযোগ্য ও সন্তোষজনক প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। আদালত বলেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ইউএপিএ-এর অধীনে দোষী করা যায় না। আরও পড়ুন: Coronavirus Cases In India: ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ১৮,৭১১ জন, মৃত্যু ১০০ জনের
২০০১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার সিমি-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ২০০১ সালের ২৮ ডিসেম্বর সুরাতের অ্যাথওয়ালাইন পুলিশ ১২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ ছিল, এরা সিমি-র সদস্য, এছাড়াও সাগরমপুরার একটি হলে সংগঠনের কার্যক্রম প্রচার করতে তাঁরা একটি সভা ডেকেছিলেন। ইউপিএ-র বিভিন্ন ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামল রুজু করা হয়। অভিযুক্তরা গুজরাতের বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের বাসিন্দা।
আদালত মামলা উঠলে অভিযুক্তরা জানান যে তাঁরা সিমির সদস্য নন এবং অল ইন্ডিয়া সংখ্যালঘু শিক্ষা বোর্ডের ব্যানারে আয়োজিত একটি সেমিনারে অংশ নিতেই জড়ো হয়েছিলেন। ধর্মীয় ও শিক্ষাগত উদ্দেশ্যেই শান্তিপূর্ণভাবে একটি সেমিনারে অংশ নিতে এই শহরে আসেন তাঁরা।