নয়াদিল্লি: দিল্লি ও এনসিআরের বিষাক্ত বাতাস মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে দিল্লি সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ দেওয়া হয়েছে। বায়ুর গুণমান উন্নত করতে সরকার GRAP-4 বাস্তবায়ন করেছে এবং কৃত্রিম বৃষ্টির কথা ভাবা হচ্ছে।
বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি সরকার। আতশবাজি (Firecrackers) বিক্রি এবং ব্যবহার ইতিমধ্যেই ১ জানুয়ারি ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এখন অনলাইনে পটকা বিক্রি বন্ধ করতে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম (E-Commerce Platforms) এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে নির্দেশ জারি করেছে পুলিশ। ক্রাইম ব্রাঞ্চ ১৯ নভেম্বর ই-মেইলের মাধ্যমে এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে নোটিশ জারি করেছিল, যাতে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করা যায়।
দিল্লির বাতাস বিষাক্ত হয়ে পড়ায় মানুষের শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। সকাল-সন্ধ্যায় কুয়াশার চাদর থাকে, যা বায়ু দূষণের তীব্রতা প্রকাশ করে। আনন্দ বিহার (৪০৯), অশোক বিহার (৪১৮), বাওয়ানা (৪২৩), জাহাঙ্গীরপুরি (৪৩৯) এবং পাঞ্জাবি বাগ (৪১১) এর মতো এলাকায় AQI ৪০০-এর উপরে রেকর্ড করা হয়েছে। পুরো এনসিআরেও বাতাসের মান বিপজ্জনক রয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসের গতি কম থাকায় আগামী কয়েকদিন দূষণের মাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।