Delhi Pollution (Photo Credits: X)

নয়া দিল্লি, ১৮ নভেম্বরঃ ক্রমশ অবনতি ঘটছে দিল্লির পরিবেশের। মাত্রা ছাড়াচ্ছে দূষণের মাত্রা (Delhi Air Pollution)। কোনভাবেই যেন আটকানো যাচ্ছে না রাজধানীর দূষণ। আস্ত গ্যাস চেম্বারে পরিনত হয়েছে রাজ্যটি। ভোরের পাশাপাশি গোটা দিন জুড়ে দিল্লিকে ঘিরে রেখেছে দূষণের চাদর। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বাড়ছে শ্বাসজনিত রোগ এবং রোগীর সংখ্যা। এই দূষণময় পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা বিচার করে রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলোকে অনলাইনে ক্লাস করানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী (Atishi)। তিনি জানান, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া বাদে সমস্ত ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্যে বাড়িতে অনলাইন ক্লাসের (Online Class ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বদল ঘটায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সমস্ত স্কুলগুলোকে তাদের সকল পড়ুয়াদের (একেবারে ১২ পর্যন্ত) জন্যে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে (NCR) বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের একটি মামলায় সোমবার বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এদিনের শুনানি চলাকালীন জাতীয় রাজধানীতে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (GRAP) এর অধীনে দূষণ বিরোধী কার্যকলাপ বাস্তবায়নে বিলম্বের কথা উল্লেখ করে দিল্লি সরকার এবং কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টকে তিরস্কার করেছে আদালত।

সোমবার দিল্লির বাতাসের গুণগত মান (Delhi AQI) ৪৮৬-তে পৌঁছে গিয়েছে। যা চলতি মরসুমের সবচেয়ে খারাপ বাতাসের মানকে চিহ্নিত করেছে। তাই সমস্ত দিক বিচার করে আপাতত ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে গিয়ে পড়াশোনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। পরিবর্তে অনলাইন ক্লাসের আয়োজন কারার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সমস্ত স্কুলগুলোকে।

এদিন আকাশের দৃশ্যমানতা এতই কম যে বিমান চলাচলের উপর তার ভারী প্রভাব পড়ছে। সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিনেই দিল্লিগামী ১১টি বিমানের পথ অন্যত্র ঘোরাতে হয়েছে। আকাশ পথে উপযুক্ত দৃশ্যমানতা না থাকলে বিমান চলাচল অত্যন্ত বিপদের। তাই যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই সোমে ১১টি দিল্লিগামী বিমানের মুখ ঘোরান হয়েছে।