বনধ/ প্রতীকী ছবি (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ৭ জানুয়ারি:  কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১০ টি ট্রেড ইউনিয়ন ঐক্যবদ্ধভাবে ভারত বনধ ডেকেছে। দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন (Central Trade Union Of India) (আইএনটিইউসি, আইআইটিইউসি, এইচএমএস, সিটিইউ, এআইইউটিইউসি, টিইউসিসি, সেওয়া, এআইসিসিটিইউ, এলপিএফ, ইউটিইউসি) যৌথভাবে ৮ ই জানুয়ারি দেশব্যাপী বনধের ডাক দিয়েছে। বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন, ব্যাংকিং ইউনিয়ন, স্বতন্ত্র ফেডারেশন এবং বিভিন্ন সেক্টরের ইউনিয়ন এই ধর্মঘট সফল করতে উদ্যোগ নিয়েছে।

এই কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির দাবি সরকারের "জনবিরোধী" নীতির প্রতিবাদে ৮ ই জানুয়ারি ধর্মঘটে দেশের ২৫ কোটি মানুষই অংশ নেবে। ইউনিয়নগুলি আরও বলেছে, ২০২০ সালের ২ রা জানুয়ারি শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রমজীবীদের দাবি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। একটি যৌথ বিবৃতিতে ১০ টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক ইউনিয়ন (সিটিইউ) জানিয়েছে যে তারা শ্রম বিরোধী নীতিমালা মোকাবিলায় এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্যই এই সর্বভারতীয় ধর্মঘট করবে। আরও পড়ুন, সাতসকালে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে জেএনইউ হামলার প্রতিবাদী আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিল মুম্বই পুলিশ

কিন্তু বাংলায় সেই বনধ হবে না (No Strike) বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। তিনি গঙ্গাসাগর মেলায় উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,“বাংলার সরকার বনধ সমর্থন করে না। এমনিতেই দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয় চলছে। সেটা আমাদের দেখতে হবে। দেশের মানুষের যাতে ক্ষতি না হয় সেটাও আমাদের দেখা উচিত।” বনধকে ‘সস্তার রাজনীতি’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে বাম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী বলেছেন, “ধর্মঘট তো ডাকা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। তাহলে ওনার এত গায়ে জ্বালা কেন?” তিনি আরও বলেন, “পারলে ধর্মঘট রুখে দেখাক মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি-বিরোধী ছদ্ম মুখোশটা খুলে যাবে। মানুষ দেখবে, মোদীর বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডাকলে দিদি নামেন সেই ধর্মঘট ভাঙতে।”

আগামীকাল বন্ধের জেরে হাওড়া, শিয়ালদহের একাধিক শাখায় ট্রেন পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটবে। এদিকে সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের অফিসে আসার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে বাম ও বিরোধীদের ডাকা বনধের দিন ছুটি পাবেন না সরকারি কর্মীরা। শুধু তাই নয় বনধের আগের দিন অর্থাত্ ৭ জানুয়ারি ও বনধের পরের দিন ৯ জানুয়ারিও আসতে হবে অফিসে।

সরকার এয়ার ইন্ডিয়া ও বিপিসিএল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়বে সংস্থার কর্মীরা। এছাড়াও, বিএসএনএল-এমটিএনএল সংযুক্তির পরে, ভিআরএস (স্বেচ্ছাসেবক অবসর প্রকল্প) এর আওতায় ৯৩, ৬০০ টেলিকম কর্মীরা ইতিমধ্যে তাদের চাকরি হারানোর অভিযোগ জানিয়েছেন।