File images of Mehbooba Mufti, Satya Pal Malik and Omar Abdullah | (Photo Credits: IANS)

শ্রীনগর, ৩ অগাস্ট: জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেশ কিছু জল্পনা। নিরাপত্তার জন্য অমরনাথ যাত্রা বন্ধের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের পর রাজ্যজুড়ে এখন থমথমেভাব। স্বাধীনতা দিবসের আগে জম্মু-কাশ্মীরের বড় মাপের হামলার মরিয়া চেষ্টা করছে জঙ্গিরা, এমন রিপোর্টের পর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে গোটা কাশ্মীর থেকে পর্যটকদের অবিলম্বে কাশ্মীর ছেড়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

অমরনাথ যাত্রী থেকে শুরু করে পর্যটকরা বাড়ি ফেরার চেষ্টায় মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন। অতীতে বেশ কয়েক বারই জঙ্গি হামলা হয়েছে অমরনাথ যাত্রায়। তার জন্য যাত্রা কখনও দিনকয়েক স্থগিত হয়েছে। কিন্তু একটি মাত্র রাইফেল ও মাইন উদ্ধারের পরই যে ভাবে আচমকা যাত্রা মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হল, তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আরও পড়ুন-মমতা ব্যানার্জির ছবি বিকৃত করে ভাইরালের চেষ্টায় কাঠগড়ায় আরও এক বিজেপি নেত্রী! 

দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা ইতিমধ্যেই উপত্যকা ছেড়ে যেতে শুরু করেছেন। সরকার শ্রীনগর থেকে অতিরিক্ত উড়ানের ব্যবস্থা করতে বলেছে। এয়ার ইন্ডিয়া টিকিট বাতিলের জন্য কোনও টাকা না-কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা। গত এক সপ্তাহে প্রায় ২৫ হাজার আধা সেনা পাঠিয়ে কেন্দ্রের যে অতি তত্পরতা দেখিয়েছে তাতেই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এই সব কিছুই সংবিধানের বিতর্কিত ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা নিয়ে বড় কোনও পদক্ষেপের প্রস্তুতি।

প্রথমটি কাশ্মীরের ভারত-ভুক্তি নিয়ে ও দ্বিতীয়টিতে রয়েছে কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে গণ্য হওয়ার শর্তগুলির কথা। যদিও নরেন্দ্র মোদীর সরকার একাধিক বারই জানিয়েছে। বাহিনী মোতায়েনের সঙ্গে ৩৭০ বা ৩৫-এ ধারার কোনও সম্পর্ক নেই। বাহিনী সরানোটা রুটিন বিষয়।

জম্মু-কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা ঢুকে পড়ার খবরে আরও সতর্ক হয়ে যায় প্রশাসন। এই অতি সতর্কতা আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের জম্মু-কাশ্মীরের স্থিতিবস্থায় আঘাত হানছে বলে অভিযোগ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির। কিন্তু প্রশাসন মনে করছে ক দিনর মধ্যে পাক সেনার সাহায্যে বড়সড় হামলার ছক কষেছে জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পেয়ে উপত্যকায় স্থলসেনা ও বায়ুসেনাকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে গত কালই। এর পরেই জারি হয় রাজ্য প্রশাসনের ওই 'অ্যাডভাইজারি'। এমন অবস্থায় নানা খবর আসছে। রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে শান্ত এবং গুজবে কান না দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক।