আইএনএস খাণ্ডেরি (Photo: ANI)

মুম্বই, ২৮ সেপ্টেম্বর: ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হল দেশের দ্বিতীয় স্কর্পিন সাবমেরিন (submarine) আইএনএস খাণ্ডেরি (INS Khanderi)। শনিবার খাণ্ডেরিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌসেনার হাতে তুলে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Union Defence Minister Rajnath Singh)। মুম্বইয়ের মাজেগাঁও ডকে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল এই নয়া সাবমেরিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, "আইএনএস খাণ্ডেরিকে কমিশন করতে এখানে এসে আমি গর্বিত। এই সাবমেরিন প্রকল্প ৭৫-র (Project 75) আওতায় নির্মিত হয়েছে। এটি ফ্রান্সের সাথে আমাদের বিশেষ সম্পর্কের প্রতীক। কারণ এই প্রকল্পটি ফ্রান্সের সাথে আমরা করেছি। আমরা আমাদের নৌবাহিনীকে নিয়ে গর্বিত। ১৯৭১ সালে নৌবাহিনী পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে বিশাল ভূমিকা নিয়েছিল। পাকিস্তানের উচিত আমাদের সক্ষমতা জানা। প্রয়োজনে আমরা সেগুলি এদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারি।"

নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং (Navy chief Admiral Karambir Singh) বলেন, "খাণ্ডেরির কমিশন ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্ষমতা অর্জনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। কঠিন পরিস্থিতিতে এটি আমাদের কাজে লাগবে।" সাবমেরিনের কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন দলবীর সিং (Captain Dalbir Singh) বলেন, "খাণ্ডেরিতে রয়েছে সর্বাধুনিক অস্ত্র ও সেন্সর প্রযুক্তি। এটি একেবারে আধুনিক সাবমেরিন। তাই এটি সঠিক ভূমিকা পালন করবেন বলে আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী।" আরও পড়ুন:  কে এই বিদিশা মৈত্র? যার স্পষ্ট, যুক্তিযুক্ত ও চাঁচাছোলা জবাবে কুপোকাত ইমরান খান

আইএনএস খাণ্ডেরি ভারতে নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি। স্কর্পিন বিশ্বের অন্যতম উন্নত সাবমেরিন এবং ভারতবর্ষে আমরা একে কলভারি শ্রেণির সাবমেরিন বলে থাকি। খাণ্ডেরি দ্বিতীয় স্কর্পিন সাবমেরিন যা থেকে আমরা টর্পেডো নিক্ষেপ করতে পারি। ক্যাপ্টেন দলবীর সিং বলেন, 'টর্পেডো, মিজ়াইল ও মাইনস সমস্তই আমরা এই সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপ করতে সক্ষম। আমাদের হেভিওয়েট অ্যান্টি শিপ এবং অ্যান্টি সাবমেরিন টর্পেডো রয়েছে, যার স্টেলথ প্রযুক্তি খুবই উন্নত এবং যন্ত্র যথেষ্ট স্থিতিশীল এবং এটি শত্রুদের এই সাবমেরিনটি শনাক্ত করতে বাধা দেয়।"

খাণ্ডেরিকে ২০১৭ সালের ১ জুন সমুদ্রে নামানো হয়। তার পর থেকে এটি সমুদ্রের বিভিন্ন স্থানে সফল পরীক্ষা দিয়েছে। লড়াইয়ের ক্ষমতা যাচাই করতে একাধিকবার টর্পেডো এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় নৌবাহিনীতে হাতে তুলে দেওয়া হয় খাণ্ডেরিকে।