নতুন দিল্লি, ৮ জানুয়ারি: ১৮ হাজার ১৩৯ জন নতুন আক্রান্তকে নিয়ে ভারতে মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা (COVID-19 tally) এখন ১ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ৪১৭। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ কেস ২ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৯টি। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৩৭ হাজার ৩৯৮ জন। গতকাল সারাদিনে করোনাকে হারিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৩৯ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্চ বলছে বৃহস্পতিবার দেশে করোনার বলি ২৩৪ জন। সবমিলিয়ে ভারতে করোনার মৃত্যু মিছিলে শামিল ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৭০ জন। ভারতে করোনাকে হারিয়ে সুস্থতার হার ৯৬.৩৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।
৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে আইসিএমআর মোট ১৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৪টি নমুনার করোনা টেস্ট করিয়েছে। শুধুমাত্র গতকাল সাত জানুয়ারি মোট ৯লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৯টি নমুনার কোভিড টেস্ট হয়েছে। ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ২৮২ জন করোনা আক্রান্তকে নিয়ে ভারতে দেশের মধ্যে সবথেকে বিধ্বস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে গতকাল সারাদিনে নতুন করে ৩ হাজার ৭২৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। সবমিলিয়ে মহারাষ্ট্রে করোনায় মৃত ৪৯ হাজার ৮৯৭ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দৈনিক সংক্রমণের ৭৯ শতাংশ খবর আসছে কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান থেকে। এখন সবারই পাখির চোখ প্রতিষেধকের দিকে। ইতিমধ্যেই করোনা প্রতিষেধক হিসেবে সমস্ত ছাড়পত্র পেয়েছে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড। খুব শিগগির দেশে করোনার টিকাকরণও শুরু হয়ে যাবে। আরও পড়ুন-West Bengal Assembly Elections 2021: এপ্রিলের গোড়াতেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ইচ্ছে কমিশনের, মার্চে নির্ঘণ্ট ঘোষণা
প্রথম পর্যায়ে টিকাকরণে কেন্দ্র ৩০ কোটি জনতাকে প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্র রেখেছে। এর মধ্যে থাকছেন ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী। ২ কোটি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ও প্রথম সারিতে থেকে লড়াই করা কর্মীরা। ৫০-এর উপর ও ৫০ বছরের নিচে যাঁরা কোমর্বিডিটিতে ভুগছেন সবমিলিয়ে ২৬ কোটি জনতাকেও প্রথম পর্যায়ের টিকাকরণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।