West Bengal Assembly Elections 2021: এপ্রিলের গোড়াতেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ইচ্ছে কমিশনের, মার্চে নির্ঘণ্ট ঘোষণা
নির্বাচন কমিশন ভবনের ফাইল ছবি (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ৮ জানুয়ারি: নতুন বছরে এখনই কাটছে না করোনা আবহ। তবে তাতে কী পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন তো হবেই। এই তালিকার হাইভোল্টেজ রাজ্য অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়াও রয়েছে কেরালা, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু ও অসম। মহামারীর মধ্যেই গত অক্টোবর নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা ভোট (Election Commission) করানো ছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে দারুণভাবে সফল কমিশন। চলতি বছরের মে মাসের মধ্যেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট সম্পূর্ণ করাতে চায়। এদিকে জানুয়ারিতেই শুরু হতে চলছে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া। সরকারের লক্ষ্য প্রথমে ৩০ কোটি জনতাকে দেওয়া হবে প্রতিষেধক। গোটা প্রক্রিয়াটি এতটাই সময়সাপেক্ষ যে প্রায় জুলাই মাস পর্যন্ত চলবে এই টিকাকরণ।

সুতারং এরপরে ভোট করাতে গেলে অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে। বিহার বিধানসভা ভোটের সাজেশনকে কাজে লাগিয়ে তাই মেমাসের মধ্যে পাঁচ রাজ্য নির্বাচন করাতে চায় কমিশন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হিংসায় জেরবার পশ্চিমবঙ্গ। তায় আবার করোনার কাঁচা এমনিতে গত বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে ৭৮টি ভোটকেন্দ্র হয়েছিল। এবার করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে সেই সংখ্যা আরও ২৮ হাজার বাড়বে। প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৫০০ করে ভোটর এতদিন ভোট দিতে দাঁড়িয়েছেন। এবার সেই সংখ্যা হাজারে আসবে। সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই সাত দফাতেই নির্বাচনের কাথা ভাবছে কমিশন। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটও সাত দফাতেই হয়েছিল। তবে পাঁচ রাজ্যে একই সঙ্গে নির্বাচন পড়ে যাওয়ায় আদৌ সাত দফা হবে কি না, আধা সামরিক বাহিনী সেই অনুযায়ী মোতায়েন করা সম্ভব কি না সবদিক খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।  আরও পড়ুন-Coronavirus Death Toll In US: কমছে না সংক্রমণ, মার্কিন মুলুকে ১ দিনে করোনার বলি প্রায় ৪ হাজার

এবছর পশ্চিমবঙ্গে পালাবদলের সম্ভাবনা তুঙ্গে। তাই জমি ধরে রাখতে লড়বে শাসকদল। আর ক্ষমতা কেড়ে নিতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে বিরোধীরা। অশান্তির সম্ভাবনা এড়ানো যাচ্ছে না। তা বিষ ফোঁড়ার মতো রয়েছে রাজনৈতিক হিংসা। পশ্চিমবঙ্গে এত কিছুর মাধে নির্বিঘ্নে নির্বাচন করানোটা কমিশনের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ। বিরোধী বিজেপি-সহ অন্যান্য দলের তরফে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছুদিন আগে  উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিল বিরোধীরা। সবদিক বিচার বিবেচনা করে আগামী এপ্রিলের প্রথমে রাজ্যে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করতে চাইছে কমিশন। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে আর এপ্রিলের গোড়াতেই শুরু হবে ভোট। মে মাসে ফলাফল প্রকাশ হবে।