ওয়াশিংটন, ৮ জানুয়ারি: ভারতে আশা জাগিয়ে করোনার দৈনিক সংক্রমণ কমলেও শীর্ষে থাকা আমেরিকা যেন দিনের পর দিন ভয়াবহতায় রেকর্ড গড়ছে। গতকাল সারাদিনে সেখানে করোনার বলি (Coronavirus Death Toll) প্রায় ৪ হাজার। বৃহস্পতিবার মার্কিন মুলুকে কোভিডের মৃত্যু মিছিলে শামিল ৩ হাজার ৯৯৮ জন। গত সপ্তাহে মার্কিন মুলুকের কলোরাডোতে করোনার নয়া স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে। যার সংক্রমণ ক্ষমতা ৭০ গুণ বেশি। মহামারী করোনায় জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণের নিরিখে দেশ একেবারে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে। তারপরেও করোনাভাইরাস প্রতিষেধক ব্যবহারে অনীহা বর্তমান। জানা গিয়েছে, ১৫ মিলিয়ন করোনা প্রতিষেধক মার্কিন মুলুকে পৌঁছলেও তার মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ অব্যবহৃত রয়েছে।
মার্কিন স্বাস্থ্য অধিকর্তারা জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ও ফ্লোরিডার যে হাসপাতালগুলি দ্রুততার সঙ্গে টিকাকরণে অংশ নিচ্ছে না তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। এদিকে কোভিড-১৯ এর সূত্র খুঁজতে বিশেষজ্ঞদের একটি দল চিনের উহানে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু চিন শেষপর্যন্ত সেই অনুমতি দিতে গড়িমসী শুরু করেছে। আর এই খবরেই চূড়ান্ত হতাশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান (WHO Chief) টেড্রস আধানম ঘেব্রেয়াসুস। তিনি বলেছেন, কোভিড বিশেষজ্ঞরা চিনের উদ্দেশে রওনা দিতে ইতিমধ্যেই নিজের নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। আর চিন এখনও তাঁদের প্রবেশের চূড়ান্ত অনুমতি দিতে সময় নষ্ট করছে। এই প্রসঙ্গে গ্লোবাল নিউজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস হু প্রধানের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তিনি বলেন, “আজ আমরা জানতে পারলাম যে কোভিড বিশেষজ্ঞদের যে দলটি চিনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। তাঁদের সেদেশে প্রবেশের অনুমতি এখনও চূড়ান্ত করেনি চিন। এই খবরে তিনি দারুণ হতাশ হয়েছেন।” আরও পড়ুন-Trump's Twitter Blocked: মার্কিন মুলুকে ক্যাপিটল ভায়োলেন্সের নেপথ্যে ট্রাম্পের উসকানি; টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক থেকে ব্লকড প্রেসিডেন্ট
#BREAKING US sets new record with nearly 4,000 Covid deaths in one day: Johns Hopkins pic.twitter.com/8XiVRjFijA
— AFP News Agency (@AFP) January 8, 2021
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনের উহানে প্রথম নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা জানা যায়। করোনায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে, চিন থেকে গোটা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো কোভিড-১৯কে চিনা ভাইরাস হিসেবেই দেগে দেন। যদিও, চিন তা মানতে চায়নি। আমেরিকার দাবি নস্যাৎ করে বেজিং দাবি করে, করোনার উত্স নির্দিষ্ট কোনও একটা জায়গা নয়।