কপার একটি খনিজ যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি অল্প পরিমাণে প্রয়োজন। এই পুষ্টি উপাদানটি লোহিত রক্তকণিকা, হাড়, সংযোগকারী টিস্যু এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঠিক কার্যকারিতা এবং গর্ভের শিশুর বিকাশের জন্যও কপার প্রয়োজন। তথ্য অনুসারে, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন ৯০০ মিলিগ্রাম কপার প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারে কপার রয়েছে এবং কপারের উপকারিতা...
কপারের অভাবে ক্লান্তি, দুর্বলতা, ঘন ঘন অসুস্থতা, দুর্বল ও ভঙ্গুর হাড়, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, হাঁটতে অসুবিধা, ঠান্ডার প্রতি সংবেদনশীলতা, ফ্যাকাশে ত্বক, অকাল ধূসর চুল এবং দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় কপার যুক্ত খাবার রাখা উচিত। এমনই একটি কপার যুক্ত খাবার হল আমন্ড। এই আমন্ডকে পুষ্টির ভাণ্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এগুলিতে ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে কপারও রয়েছে। আমন্ড এবং চিনাবাদাম খেলে শরীরে কপারের কোনও ঘাটতি হয় না।
আমন্ডের মতো ডার্ক চকোলেটও কপার যুক্ত খাবার। ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে কোকো সলিড থাকে এবং চিনির পরিমাণও কম থাকে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি নিয়মিত খেলে শরীর প্রচুর পরিমাণে কপার পায়। খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি থাকা মানে প্রায় কোনও পুষ্টিরই ঘাটতি হয় না। এতে ফাইবার, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফোলেট পাওয়া যায়। পালং শাক এবং কেল খেলে শরীরে কপারের ঘাটতি হয় না।