দিল্লি, ১৬ আগস্ট: চলতি মাসের পাঁচ তারিখেই উপত্যকায় ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপ করার কথা ঘোষণা হয়। দুদিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি এই মর্মে গেজেট প্রকাশ করেন। কাশ্মীরের উপর থেকে স্পেশ্যাল স্টেটাস উঠে যাওয়ার প্রসঙ্গটি নিয়ে সংসদে বিস্তারিত বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তারপরেই এই সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালঞ্জ জানিয়ে বেশ কয়েকটি সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়ে। শুক্রবার সেই সব আবাদনেরই শুনানি শুরু হল সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, (Ranjan Gogoi) বিচারপতি এস এ বোবদে ও বিচারপতি এস এ নাজিরকে নিয়ে গঠিত স্পেশাল বেঞ্চে। আবেদনকারীরা হলেন অ্যাডভোকেট এম এল শর্মা ও কাশ্মীর টাইমসের এক্সিকিউটিভ এডিটর অনুরাধা ভাসিন। আরও পড়ুন-কাশ্মীরিদের স্বার্থে উপত্যাকা থেকে ১৪৪ ধারা তুলে দিন, প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার
৩৭০ ধারা বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে গত ১০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা করেন অনুরাধা ভাসিন। তাঁর আর্জি, সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিক যাতে জম্মু ও কাশ্মীরের সব নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। অবিলম্বে কাশ্মীর উপত্যকায় ল্যান্ডলাইন, মোবাইল পরিষেবা ও ইন্টারনেট চালু হোক। মিডিয়াকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে যেন কেউ বাধা না দেয়। এই প্রসঙ্গে অনুরাধা ভাসিন জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারা বিলোপের কারণে গত চার তারিখ থেকেই কাশ্মীরে যোগাযোগের সব মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের কয়েকটি জেলা এবং জম্মু সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স ৩৭০ ধারা বিলোপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। তাঁদের অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই কেন্দ্রীয় সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে তাঁদের অধিকার খর্ব হয়েছে।
This fellow ML Sharma has been fined several times for filing bogus PILs. He challenged the Rafale contract & was happy with the dismissal of his petition. Didn't file any review petition for reversing the judgement https://t.co/7vSCb07uBb
— Prashant Bhushan (@pbhushan1) August 6, 2019
CJI Ranjan Gogoi says, "I read your petition for half an hour but could not understand what is this petition about." https://t.co/F6hzWshfWU
— ANI (@ANI) August 16, 2019
একইভাবে ৩৭০ ধারার বিলোপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যান আইনজীবী এম এল শর্মা। তিনি ৬ আগস্ট এই মর্মে মামলা দায়ের করেন। যেদিন গেজেট প্রকাশ করে ৩৭০ ধারা বিলোপের সরকারি সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এদিন মামলা দায়ের করে এম এল শর্মা বলেন, জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভাকে না জানিয়ে রাষ্ট্রপতি কিছুতেই উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ ঘটাতে পারেন না।