প্রতীকী ছবি(Photo Credit: PTI)

দিল্লি, ১৫ আগস্ট: ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবসে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) মানুষের সুস্থিতি কামনা করল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) কাছে জম্মু কাশ্মীরের কার্ফিউ তোলার আবেদন করা হল। জানানো হল, প্রধানমন্ত্রী যদি মনেই করেন ৩৭০ ধারার  (Article 370) বিলোপে কাশ্মীর ভালই আছে, তাহলে সেখানে জারি থাকা ১৪৪ ধারা তুলে দেওয়া হোক। চলতি মাসের পাঁচ তারিখে ৩৭০ ধারার বিলোপ ঘটায় কেন্দ্র। কাশ্মীর থেকে উঠে যায় সংবিধানের স্পেশ্যাল স্টেটাস। তারপর দশ দিন কেটে গিয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা ঠিক কেমন আছেন জানে না গোটা দেশ। যেসব আত্মীয় স্বজন কাশ্মীরের বাইরে থাকেন তাঁরাও পরিবারের কোনও খোঁজখবর পাচ্ছেন না। আরও পড়ুন-৩৭০ ধারা বিলোপে এখন “এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত”, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

এককথায় চিন্তায় দিন কাটছে সকলের। জনসানসে বিভিন্ন ধারণাও জন্মাচ্ছে। আদৌ কী কাশ্মীরিরা ভাল আছেন, নাকি এই অযাচিত কার্ফিউর দাপটে তাঁরা অতিষ্ট? বিদ্রোহ শুরু করেছেন। সেসব খবর প্রকাশ্যে আসছে না। এতে কাশ্মীরিদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। দেশ ও দশের স্বার্থে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হোক কার্ফিউ, সেখানে শান্তি ফিরুক। ইদ উপলক্ষে গত ১২ তারিখ কার্ফিউ শিথিল হলেও পরে ফের একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেনা ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সাফাই দেওয়া হয় নিরাপত্তার স্বার্থে ও শান্তি বজায় রাখতে এখনও ফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার দাবি, তাই যদি হবে তাতো মানুষের উপকার কিছু হচ্ছে না প্রয়োজনেও রাস্তায় বেরতে পারছেন না কেউ। হাসপাতালে যাওয়া শিশুদের পড়াশোনার জন্য স্কুল সবই বন্ধ। পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছে।

একই সঙ্গে অ্যামনেস্টি ইন্টার ন্যাশনাল (Amnesty International) ইন্ডিয়া ৩৭০ ধারা বিলোপের কারণে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন।বলা হচ্ছে সতর্কতা মূলক গ্রেপ্তারি তবে তাঁরা কেমন আছেন, কোথায় আছেন তানিয়ে কোনওরকম খবরই প্রকাশ্যে আনছে না সরকার। উপত্যকার এই দুই হেভিওয়েট নেতারও খোঁজ খবর শুরু হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার প্রধান আকার প্যাটেল বলেছেন, “ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি মনে করেন কাশ্মীরের মানুষের স্বার্থেই এই ৩৭০ ধারার বিলোপ হয়েছে। তাহলে ১০ দিন আগে জারি হওয়া ১৪৪ ধারা উপত্যকা থেকে তুলে দেওয়া হোক। কেননা সরকার নিশ্চই বুঝতে পারছে উপত্যকার মানুষ এই ১৪৪ ধারার চাপে বিপর্যস্ত হয়ে আছে। জনমানসে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে যা মোটেই সরকারের জন্য মঙ্গলজনক নয়।”