
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলা উত্তেজনা আরও বেড়েছে। গতকাল (২৭ এপ্রিল, ২০২৫) ফের সংঘর্ষ চুক্তি ভেঙে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় রাতের অন্ধকারে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল পাক সেনা (Pak Rangers)। এই নিয়ে পরপর চার রাতে সীমান্তে গুলি চালাল প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনী।ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) তরফে সোশ্যাল মিডিয়ার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কুপওয়াড়া ও পুঞ্চ জেলার বিপরীত অংশের নিয়ন্ত্রণ রেখায় ওপারের পাকিস্তানি সেনা পোস্ট থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়। সেনাবাহিনী এর যোগ্য জবাব দিয়েছে পাল্টা গুলিতে।এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, এই প্রথম পুঞ্চ সেক্টরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাকিস্তান।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে সসন্তাসবাদী হামলায় খুন করা হয় ২৬ জন পর্যটককে। এই হামলার পরই সীমান্তে সেনা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়িয়েছে সরকার। ওই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে প্রতিবেশী দেশের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন। রাত হলেই নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। সেনা সূত্রেই খবর, পাক সেনার এই গুলি চালানোর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। কেবল ভারতকে উসকাতে নয়, সীমান্তে, বিশেষ করে নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা কতটা তৎপর রয়েছে, তা দেখার জন্যই পাক সেনা গুলি চালাচ্ছে। যদিও প্রতিবারই ভারতীয় সেনা বাহিনী তার যোগ্য় জবাব দিচ্ছে।
During the night of 27-28 April 2025, Pakistan Army posts initiated unprovoked small arms fire across the Line of Control in areas opposite Kupwara and Poonch districts. Indian troops responded swiftly and effectively: Indian Army
— ANI (@ANI) April 28, 2025
গত ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাবে ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানিদের ভিসাও। ইসলামাবাদের দূতাবাস থেকেও রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতদেরও অবিলম্বে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। এই অবস্থায় কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বাহিনী। বায়ুসেনা ও নৌসেনাও প্রস্তুতি মহড়া করছে। তাই বারবার সেখানেই পাকিস্তান ক্রমাগত উসকানি দিয়ে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।