স্ক্রীন এর জন্য  কাঁচা দুধ এর উপকারিতা অপরিসীম।  কাঁচা দুধের সাথে বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে ব্যবহার করলে দারুন কাজ দেয়। বিশেষত  মুখের যত্নের জন্য ব্যবহার করা হয় কাঁচা দুধ। ত্বককে উজ্জ্বল বাজারের চলতি ক্রিম ব্যবহার করি। তবে  ত্বকের উন্নতি এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে কাঁচা দুধ। কাঁচা দুধের প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকে প্রচুর পুষ্টি সরবরাহ এবং পরিষ্কার রাখার কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা দুধের উপকারিতা সম্বন্ধে বিস্তারিত। ত্বককে সুস্থ রাখার একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং প্রাকৃতিক উপায় কাঁচা দুধ।

ত্বকের নানাভাবে উপকার করে কাঁচা দুধ। এটি ত্বকে গভীর আর্দ্রতা প্রদান করে, ত্বককে নরম রাখে। কাঁচা দুধে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে, যা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমায়। কাঁচা দুধের প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য ত্বকের কালো দাগ দূর করতে বা ত্বকের কালো দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।

কাঁচা দুধ মুখে লাগানোর জন্য, প্রথমে তুলোর বল বা পাতলা কাপড় কাঁচা দুধে ভিজিয়ে নিন। এরপর, আলতো করে পুরো মুখে লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। 

 কাঁচা দুধ তুলোর সাহায্যে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। কাঁচা দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন । কাঁচা দুধের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন, এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে।  কাঠবাদাম ও দুধের পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগালে দাগ দূর হয়। কাঁচা দুধের সাথে মধু বা বেসন মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। 

কাঁচা দুধ ত্বকের ব্রণর সমস্যা কমাতে পারে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের সংক্রমণ দূরে রাখে। কাঁচা দুধ বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখা কমিয়ে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা দুধ ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ গঠন করে। এছাড়া কাঁচা দুধ ত্বকের গঠন মসৃণ ও নরম করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।