আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের জালে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে
পি চিদম্বরম ও ছেলে কার্তি (Photo Credit: PTI)

দিল্লি, ২২ আগস্ট: বুধবার রাতে রাজধানীর অঙ্গনে নাটকের শেষ অঙ্ক উপস্থাপিত হল। জোরবাগের বাংলোতে পাঁচিল টপকে ঢুকে সিবিআই কর্তারা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে গ্রেপ্তার করলেন। তারপর সোজা সিবিআই-এর গাড়ি পৌঁছাল লোদী রোডের সদর দপ্তরে। পি চিদম্বরমকে বৃহস্পতিবার বেলার দিকে আদালতে পেশ করা হবে। বিচারপতির কাছে চিদম্বরমকে ১৪ দিন হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাতে পারে সিবিআই, এমনটাই সূত্রের খবর। আইএনএক্স মিডিয়া এবং এয়ারসেল ম্যাক্সিসকাণ্ডে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় চিদম্বরমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত চিদম্বরম-পুত্র কার্তি চিদম্বরও। সিবিআই জানিয়েছে, এ দিন বাবার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে ছেলেকেও।

আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে তা চ্যালেঞ্জ করে আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানিও চেয়েছিলেন তিনি। তবে চিদম্বরমের কথামতো কাজ হয়নি, সুপ্রিম কোর্ট আগামীকাল শুক্রবার ওই মামলার দিন ধার্য করেছে। এরপরেই আসরে নামে সিবিআই। তবে চেষ্টা করেও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর নাগাল পাচ্ছিল না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কংগ্রেস কার্যালয়ে বৈঠকের পরও পি চিদম্বরম সিবিআইয়ের নাগালের বাইরে চলে যান। পরে তাঁকে ধাওয়া করে সিবিআই ও ইডি-র একাধিক টিম পৌঁছে যায় জোড়বাগে। সেখানে শুরু হয় নাটক। পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকতে দেখা যায় সিবিআই কর্তাদের। এর কিছুক্ষণ পরেই চিদম্বরমের গ্রেপ্তারির খবর প্রকাশ্যে আসে। আরও পড়ুন-P Chidambaram Taken Into Custody: দীর্ঘ নাটকীয় টানাপোড়েনের পর পি চিদম্বরম সিবিআই হেফাজতে, দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে ধরল CBI

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ইউপিএ জমানায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকার সময় আইএনএক্স মিডিয়ায় ৩০৫ কোটির বিদেশি অনুদানের অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই সময় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রকের অধীন ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ডের (এফআইপিবি) অনুমোদন নিতে হত। অভিযোগ, সে সময় আইএনএক্স মিডিয়ায় ৩০৫ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগে বেআইনি ভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ওঠার পরই তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। প্রাথমিক তদন্তের পর ইডি দাবি করে, ওই ৩০৫ কোটি টাকা যে সংস্থায় ট্রান্সফার হয়েছিল, সেটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন চিদম্বরমের ছেলে কার্তি চিদম্বরম।