তাহির হুসেন (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ২৮ ফেব্রুয়ারি: দিল্লি সংঘর্ষে নাম জড়ালো আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর তাহির হুসেনের (Tahir Hussian)। এফআইআর দায়ের হতেই দল থেকে বহিষ্কার করা হল তাহিরকে।দিল্লি হিংসার বলি হয়েছেন গোয়েন্দা অফিসার (IB Officer) অঙ্কিত শর্মা (Ankit Sharma)। বুধবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির (North East Delhi) জাফরাবাদে অঙ্কিতের বাড়ির কাছেই একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। এই ঘটনার পরেই ছেলের মৃত্যুর জন্য আপ নেতা তাহির হুসেনকে দায়ী করিয়েছিলেন অঙ্কিতের বাবা রবীন্দ্র শর্মা। তাঁর অভিযোগ, মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার পথে উন্মত্ত জনতা ঘিরে ধরে অঙ্কিতকে। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। তারপর গুলি করে খুন করা হয়েছে অঙ্কিতকে। আর এইসবটাই হয়েছে তাহির হুসেনের অঙ্গুলিহেলনে।

যদিও বৃহস্পতিবার একটি ভিডিওতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন আপ নেতা (AAP Leader)। তার কয়েক ঘণ্টা পরই তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে অঙ্কিতকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। এফআইআর-এ ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে তাহির হুসেনেরই নাম লিখেছিলেন অঙ্কিত শর্মার বাবা। এই এফআইআর দায়ের হওয়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই আম আদমি পার্টি থেকে বহিস্কার করা হয় তাহির হুসেনকে। আরও পড়ুন, মৃত বেড়ে ৩৮, হিংসার তদন্তে দুটি SIT গঠন দিল্লি পুলিশের

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অঙ্কিতের প্রতিবেশীরা জানান, তাহির হুসেনের বাড়ির ছাদ থেকে পাথর ও পেট্রোল বোমা ছোড়া হচ্ছিল। সেই পাথরের আঘাতেই অঙ্কিতের মৃত্য হয়ে থাকতে পারে। অঙ্কিত শর্মার মৃত্যু নিয়ে টুইটারে ক্রমাগত নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। একাধিক টুইট করে তিনি বলেন, আপ কাউন্সিলরের মদতেই এলাকায় অশান্তি হচ্ছে। অথচ তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে কেজরিওয়ালের সরকার। এমনকি এই সংঘর্ষের পিছনে কেজরিওয়ালের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কপিল মিশ্র।

এদিকে উত্তর পূর্ব দিল্লিতে হিংসায় (Delhi Violence) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৮। মৃতদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে, ৩ জনের মৃত্যু হয়ছে লোক নায়ক জয়প্রকাশ নায়ারণ হাসপাতালে ও একজনের মৃ্ত্যু হয়েছে জেপিসি হাসপাতালে (Jag Parvesh Chander Hospital)। শনিবার থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসা ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এদিকে হিংসার ঘটনার দুটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Crime Branch)। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, দুটি সিটের মাথায় থাকবেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ জয় তিরকে ও রাজেশ দিও। ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যাডিশনাল কমিশনার অফ পুলিশ বিকে সিং দুটি সিটের কাজে তদারকি করবেন। প্রতিটি সিটে থাকবেন চারজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদ মর্যাদার অফিসার।