নতুন দিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি: দিল্লিতে হিংসায় (Delhi Violence) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৮। মৃতদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে, ৩ জনের মৃত্যু হয়ছে লোক নায়ক জয়প্রকাশ নায়ারণ হাসপাতালে ও একজনের মৃ্ত্যু হয়েছে জেপিসি হাসপাতালে (Jag Parvesh Chander Hospital)। শনিবার থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসা ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এদিকে হিংসার ঘটনার দুটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Crime Branch)। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, দুটি সিটের মাথায় থাকবেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ জয় তিরকে ও রাজেশ দিও। ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যাডিশনাল কমিশনার অফ পুলিশ বিকে সিং দুটি সিটের কাজে তদারকি করবেন। প্রতিটি সিটে থাকবেন চারজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদ মর্যাদার অফিসার।
বৃহস্পতিবার চাঁদবাগ এলাকায় মার্চ চলাকালীন দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ওপি মিশ্র ঘোষণা করেছিলেন যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। তিনি বলেন, "মুদি, মেডিকেল এবং অন্য দোকানগুলি খোলা যেতে পারে। ভয়ের কিছু নেই, পুলিশ আপনাদের সুরক্ষার জন্য এখানে রয়েছে। দয়া করে দলে, বিশেষত যুবকরা দলে একত্রিত হবেন না।" ভজনপুরা, মৌজপুর-বাবরপুর, চাঁদবাগ এবং জাফরাবাদের মতো সমস্যাগ্রস্ত এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত, দিল্লি পুলিশ ১৮টি এফআইআর দয়ের করেছে এবং ১০৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সংঘর্ষ প্রবণ এলাকা পরিদর্শনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। আরও পড়ুন: Delhi Violence: হিংসায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা দিল্লি সরকারের
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বার্তায় শান্তি সৌভাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, “শান্তি ও সম্প্রীতি আমাদের নৈতিকতা। আমি দিল্লির ভাইবোনদের শান্তি ও সৌভাতৃত্ব বজায় রাখার আবেদন করছি। সবকিছুর আগে দিল্লিকে এখন শান্ত হতে হবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে হবে।”