Sri Lanka Crisis: বন্ধ হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার জাতীয় টিভি, স্থগিত হল মার্কিন দূতাবাসের কাজ
News Channel. (Photo Credits: Twitter)

কলম্বো, ১৩ জুলাই: রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাক্ষে দেশ ছাড়ার পর শ্রীলঙ্কায় অচলবস্থা, বিক্ষোভ চরমে ওঠায় দেশে জারি হয়েছে জরুরী অবস্থা। কিন্তু এরপরেও থামছে না বিক্ষোভ। দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভ, চরম অচলাবস্থায় এবার বন্ধ হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার জাতীয় টিভি নেটওয়ার্ক। শ্রীলঙ্কার জাতীয় টিভি শ্রীলঙ্কার রুপাভানি কর্পোরেশন (SLRC)-র সরাসরি সম্প্রচার করে দিতে হল।

দেখুন টুইট

এর ফলে দেশের সরকার বা প্রশাসনের কোনও বক্তব্য বা সরকারী খবর জানার আর কোনও সুযোগ থাকছে না। এর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় মার্কিন দূতাবাসের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হল। আরও পড়ুন-প্রেসিডেন্টের পর প্রধানমন্ত্রীও ইস্তফা দিন, রনিলের অপসারণের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ শ্রীলঙ্কায়

দেখুন টুইট

সংবাদসংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। আজ ভোরে সামরিক বিমানে চড়ে স্ত্রী ও ২ দেহরক্ষীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষে। তিনি মালদ্বীপে গিয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেননি। শ্রীলঙ্কা সংসদের স্পিকারও জানিয়েছেন যে তিনি এখনও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ পত্র হাতে পাননি। এদিকে আজ সকাল থেকে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে কলম্বোয় (Colombo)। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের (Prime Minister Ranil Wickremesinghe) অফিস ও বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে।

দেখুন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ঢুকে বিক্ষোভকারীদের ভিডিও 

কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢোকার জন্য পাঁচিলে উঠে পড়েন। তাঁদের নামিয়ে আনতে জল কামান ব্যবহার করছে সামরিক বাহিনী। এছাড়াও ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে ফাটানো হচ্ছে কাঁদানে গ্যাসের সেল। যদিও কয়েকশো বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে যায়। এক বিক্ষোভকারী বলেন, "আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। কারণ আমাদের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে প্রধানমন্ত্রী ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হবেন। জনগণ চায় তাঁরা দু'জনেই চলে যাক। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাচ্ছে। সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে।"