ওয়াশিংটন, ২৮ এপ্রিল: গত সপ্তাহে বলেছিলেন, করোনা আক্রান্তকে সুস্থ করতে কীটনাশক ইঞ্জেকশন দেওয়া হোক। পরে তানিয়ে বিরূপ সমালোচনার মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সোমবার নিজের মন্তব্যের কারণে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেন তিনি। হোয়াইটহাউস থেকে এক বিবৃতিতে জানান, কেউ যদি সুস্থ হওয়ার জন্য ভুল পদ্ধতিতে কীটনাশক ইঞ্জেকশন নেন এবং তাতে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে তার দায় ট্রাম্প নেবেন না। গত সপ্তাহে করোনা রোগীকে সুস্থ করতে কীটনাশক ব্যবহারের দাওয়াই দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর থেকেই মার্কিন মুলুকের কীটনাশক নিয়ন্ত্রক সেন্টারে একের পর এক ফোন এসেই চলেছে।
যেদিন ট্রাম্প করোনা রোগীকে কীটনাশক ইঞ্জেকশন দিতে বললেন, সেদিন নিউইয়র্কের কীটনাশক নিয়ন্ত্রক সেন্টারে রেকর্ড সংখ্যাক ফোন এল। সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে পর্যন্ত ৩০টি ফোন অ্যাটেন্ড করেছেন সেন্টারের কর্মীরা। প্রত্যেকেই করোনা সারাতে কীটনাশক ইঞ্জেকশন চেয়েছে। সমালোচকরা প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যকে অদ্ভুত বললেও পরে ট্রাম্প নিজে বলেন, তিনি ব্যাঙ্গ করেছিলেন। আরও পড়ুন- West Bengal Government: কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর চিকিৎসা হবে হাসপাতালেই, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারেন স্বজনরা; স্পষ্ট করল স্বাস্থ্যদপ্তর
এর আগে শনিবার ট্রাম্প বলেন, তিনি আর সাংবাদিক সম্মেলন করার কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ সাংবাদিকরা তাঁকে যা প্রশ্ন করছেন, তার বেশিরভাগই ভুয়ো খবর। এটা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ রোগীদের নিয়ে তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। সেদিন ট্রাম্প বলেছিলেন, করোনা রোগীদের সুস্ত করতে তাদের উপরে কীটনাশক স্প্রে করা হোক। অথবা অতিবেগুনী রশ্মী ফেলা হোক। এই কাজ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে করা যেতে পারে। এহেন মন্তব্যের জেরে শোরগোল পড়তেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেন, ব্যঙ্গ করে একথা বলেছেন তিনি।