ক্লিভল্যান্ড, ৩০ সেপ্টেম্বর: প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে (US Presidential Debate 2020) কোভিড-১৯ প্রসঙ্গ উঠতেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বি জো বিডেন একেবারে সম্মুখ সমরে নেমে পড়ল। মারাত্মকভাবে করোনা সংক্রমণ চলছে দেশজুড়ে। তারপরেও লকডাউনের নামও করছে না ট্রাম্প প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ভোটারদের নিরাপত্তার কথা ভাবা হচ্ছে না, বলে আওয়াজ তুলেছেন জো বিডেন। এর প্রত্যুত্তোরে ট্রাম্প বললেন, করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত দায়বদ্ধতার নামে সমগ্র দেশটাকে বন্ধ করে দেওয়াই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বির পরিকল্পনা। মার্কিন মুলুকে করোনাভাইরাসের এমন বাড়াবাড়ির জন্য ট্রাম্পকেই দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বিডেন। এখনও পর্যন্ত আমেরিকায় করোনা সংক্রমণ সাত মিলিয়নে পৌঁছেছে। বিডেন বলেন, “এখনও পর্যন্ত ২ লাখ লোকের প্রাণ চলে গিয়েছে, তারপরেও বিপর্যয় মোকাবিলার কোনও পরিকল্পনা প্রেসিডেন্টের নেই।”
এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, “দেশ পরিচালনার নেতৃত্ব বিডেনের হাতে গেলে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হত। ভাইরাসের উপকেন্দ্র চিন। সেই চিন থেকে আমেরিকায় বিমান চলাচল নিষিদ্ধ হোক আপনি কখনওই চাইতেন না। এর জেরে দেশে করোনার বলি আরও ২ মিলিয়ন বেড়ে যেত। রাশিয়া, চিন ও ভারতে কতজনের করোনায় প্রাণ গিয়েছে, আপনি জানেন না। তারা আপনাকে সরাসরি মৃত্যু হিসেব দেয় না।” যদিও বিডেনের অভিযোগ, দেশে করোনাভাইরাস মহামারীতে নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে বাস্তব পরিস্থিতি লুকোচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কেন মানেননি, তানিয়েও ট্রাম্পের দিকে প্রশ্ন তুলেছেন বিডেন। আরও পড়ুন-Venkaiah Naidu Covid Positive: করোনা আক্রান্ত উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়াহ নাইডু
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, “মাস্ক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটি প্রমাণিত হয়েছে। তারপরেও মানুষ মাস্ক পরুক তা ডোনল্ড ট্রাম্প চান না।” জানা গিয়েছে, ক্লিভল্যান্ডের প্রথম ডিবেট ছাড়াও ৩ নভেম্বর মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আরও দুটি ডিবেটে অংশ নেবেন ট্রাম্প ও বিডেন। এই ডিবেটের বিষয় হতে পারে বর্ণবাদ, সুপ্রিমকোর্ট, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, আইন শৃঙ্খলা ও নির্বাচনের অখণ্ডতা। এই দুই ডিবেটের একটি মিয়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ অক্টোবর। তৃতীয় এবং শেষ ডিবেটটি হবে ২২ অক্টোবর, স্থান নাশভিল।