
ইসলামাবাদ, ২৯ জুন: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) তোশাখানা (Toshakhana) থেকে একটি স্থানীয় ঘড়ি ব্যবসায়ীর কাছে তিনটি ঘড়ি (Watches) বিক্রি করেছেন। তিনটি ঘড়ি মোট ১৫৪ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপিতে বিক্রি হয়েছে বলে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলি দাবি করেছে। সরকারি তদন্তে উঠে এসেছে যে বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া এই জুয়েল-শ্রেণির ঘড়িগুলি বিক্রি করে ইমরান লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছেন।
সবচেয়ে দামি ঘড়িটি ১০১ মিলিয়ন রুপিরও বেশি মূল্যের। দ্য নিউজ রিপোর্ট করেছে, তোশাখানা থেকে এই ঘড়িগুলি নিজের পকেটের অর্থ খরচ করে কেনার পরিবর্তে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রথমে ঘড়িগুলি বিক্রি করেছিলেন এবং তারপর প্রতিটির বিক্রিয় মূল্যের ২০ শতাংশ সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছিলেন। এই সংক্রান্ত নথি এবং বিক্রির রসিদ প্রকাশ করেছে দ্য নিউজ। তারা জানিয়েছে, এই উপহারগুলি তোশাখানায় জমা ছিল না। কোনও সরকারি কর্মকর্তার প্রাপ্ত উপহার অবিলম্বে তোশাখানায় রিপোর্ট করতে হয়, তখন এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এর পরে প্রাপক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করে সেই উপহার নিজের কাছে রাখতে পারেন। আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: পূর্ব ইউক্রেনের শপিং মলে রুশ সেনার মিসাইল হানায় মৃত ১৬, আহত ৫৯
তোশাখানার নথি থেকে জানা গিয়েছে, উপসাগরীয় দেশ থেকে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে উপহার পাওয়া এই তিনটি দামি ঘড়ি বিক্রি থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ৩৬ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি আয় করেছিলেন। সবচেয়ে বেশি দামের ঘড়িটি ১০১ মিলিয়ন রুপির। যদিও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি ৫১ মিলিয়ন রুপিতে সেটি বিক্রি করেছেন এবং ২০ মিলিয়ন রুপি সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন। এইভাবে ৩১ মিলিয়ন রুপি আয় করেছেন। এটা থেকে পরিষ্কার যে ঘড়িটি তার প্রকৃত মূল্যের অর্ধেক দামে বিক্রি হয়েছিল।
এখানে উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে এই ঘড়িটি ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি বিক্রি করা হয়েছিল, তাও আবার তৎকালীন পিটিআই সরকার তোশাখানার নিয়ম সংশোধন করার পরে। উপসাগরীয় দ্বীপ থেকে রাজপরিবারের একজন সদস্যের উপহার দেওয়া একটি রোলেক্স প্লাটিনাম ঘড়ি ইমরান খান ৫.২ মিলিয়ন রুপিতে বিক্রি করেছিলেন। তোশাখানার সরকারি মূল্যায়নকারীরা এই ঘড়ির দাম ৩.৮ মিলিয়ন রুপি নির্ধারণ করেছিলেন। তিনি সরকারি কোষাগারে ০.৭৫ মিলিয়ন রুপি মূল্যের ২০ শতাংশ জমা করেন, এই ঘড়িটি বিক্রি করে প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন রুপি লাভ করেন। এই ঘড়িটি উপহার পাওয়ার ২ মাস পরে ২০১৮ সালের নভেম্বরে বিক্রি হয়েছিল।