সিপিএমের পতাকা( credit-IANS)

৭ মে, ২০১৯: ৩৪ বছরের বাম শাসন। প্রায় তিন দশকের দাপুটে শাসন। তারপর.‌.‌.‌। তারপরের টা ইতিহাস। সেটা এখনও ইতিহাস হয়েই রয়ে গিয়েছে। মাঝে মধ্যে আলিমিদ্দিনের সাংবাদিক বৈঠক ছাড়া বামেদের (CPM)আর কোনও চিহ্ন রাজ্যে আছে বলে মনে হয় না। নিজেদের কৌলিন্য হারিয়ে এখন প্রায় অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে রাজ্যে বামেরা। কোনও নতুন মুখ নেই। নেই কোনও দাপুটে নেতার দেখাও। এমনকী সংগঠন মজবুত করার কোনও সদিচ্ছাও বাম নেতাদের মধ্যে দেখা যায় না।

বামেদের ব্রিডেগ সমাবেশে যে ভিড় দেখা গিয়েছিল সেটা বজা রাখার কোনও প্রচেষ্টা সূর্যকান্ত মিশ্র (Surya kanta Mishra)এবং বিমান বসুদের (Biman Basu)মধ্যে দেখা যায় না। ব্রিগেড সমাবেশে জনতার ভিড় দেখা গেলেও দেবলীনা হেমব্রম আর মহম্মদ সেলিম ছাড়া সেরকম কোনও বক্তাকে দেখা যায়নি। সংগঠন পুনরুজ্জীবনের জন্য যে বক্তা এবং সংগঠকের প্রয়োজন হয় তা তৈরি করার কোনও প্রচেষ্টাও তাঁদের মধ্যে দেখা যায় না। এমনকী জেলাস্তরেও একই অবস্থা। নতুন নেতা, নতুন মুখ তৈরি করার কোনও প্রবণতা বাম নেতৃত্বের মধ্যে নেই বললেই চলে।

লোকসভা ভোটের প্রচারেও বামেদের তেমন দাপট দেখা যাচ্ছে। এমনকী সংগঠন জিইয়ে রাখার মানসিকতাই দেখা যাচ্ছে না তাঁদের মধ্যে। আলিমুদ্দিনের আচরণ বুঝিয়ে দিচ্ছে সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে তাঁদের নেই। ভোট কাটাকাটিতেই সন্তুষ্ট তাঁরা।

পলিটব্যুরোর অন্দরে গোষ্টিদ্বন্দ্ব প্রকট। কারাট বনাম ইয়েচুরি শিবির যেন একে অপরকে অকেজো করে রাখার কৌশলে মন দিয়েছে। জাতীয় থেকে রাজ্য দুই স্তরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই বামেরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে ভীষণ ভাবে অনিহা প্রকাশ করে চলেছে।