কলকাতা, ২৬ অগাস্ট: Mother Teresa 109th Birth Anniversary: আজ ২৬ আগস্ট মাতৃরূপী মহিয়সী নারী মাদার টেরিজার (Mother Teresa) ১০৯ তম জন্মবার্ষিকী (109th Birth Anniversary)। মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রতিষ্ঠাতা মাদার টেরিজা ২৬ আগস্ট ১৯১০ যুগোস্লোভিয়ায় (Yugoslavia) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। গরিব, দুঃখীদের দুঃখে ব্যথিত হয়ে তিনি ১৮ বছর বয়সে গৃহত্যাগ করেন। তাঁদের সেবায় নিজেকে আত্মত্যাগ করেন। টিবি, এইচআইভি, এইডস, কুষ্ঠ ও যক্ষায় আক্রান্ত মানুষকে তখন প্রায় অচ্ছুৎ করে রাখা হত। তাঁরা পেতেন না যথাযথ চিকিৎসা। তাঁদের জন্যই তিনি তৈরী করেন মিশনারিজ অফ চ্যারিটি।
আজ তাঁর ১০৯ তম জন্মবার্ষিকীতে রইল কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
১. মাদার টেরেজাকে কলকাতার সেইন্ট টেরেজা বলে আখ্যা দেওয়া হয়। মাদার টেরেজার প্রকৃত নাম হল অ্যাগনেস গোনাশা বোজাশিউ (Anjezë Gonxhe Bojaxhiu)। অ্যাগনেস মানে 'একটি ছোট্ট ফুল'। আরও পড়ুন, রানু রূপকথায় এবার যোগ বিগ বস
২. ১৯২৮ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করেন আর্ত, গরীব, দুঃখীদের সেবার উদ্দেশ্যে গৃহত্যাগ করেন। এরপর আর তিনি তাঁর মা ও বোনকে দেখেন নি।
৩. ১৯২৯ সালে তিনি ভারতে আসেন। ভারতের সামাজিক অবস্থা দেখে তিনি মর্মাহত হন। ১৯ বছর বয়সে এসে জীবনের বেশিভাগ সময়টি ভারতেই কাটিয়েছেন।
৪. প্রথমে তিনি লরেটোর নবগতা কর্মীরূপে সেন্ট মার্গারিটা স্কুলের শিক্ষিকারূপে যোগদান করেন। ভগবান যীশুর কাছে তিনি প্রত্যাদেশ পান—“আমি এইখানে, এই আর্ত-ক্ষুধিতের ভীড়ে।” তখন থেকেই চাকুরি জীবনের ফাঁকে ফাঁকে মতিঝিল বস্তিতে তাঁর প্রকৃত সেবার কাজ শুরু হয়। সেখানেই গাছের নিচে দু, তিনজন শিশুকে নিয়ে শুরু হয় তাঁর শিক্ষাপ্রদানের যাত্রা। শিক্ষাদান ও সেবার মধ্যে দিয়ে তিনি সকলের মা হয়ে ওঠেন।
৫. কলকাতায় থেকে তিনি বাংলা শিখেছিলেন এবং সেন্ট টেরেজা স্কুলে তিনি শিক্ষাপ্রদান করেন।
৬. কলকাতার দারিদ্রতা তাঁকে সবথেকে বেশি মর্মাহত করেছিল।
৭. সারা বিশ্বে তিনি প্রায় ৪৭০ টি সেবা প্রতিষ্ঠান তৈরী করেন।
৮. পরে তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। মাদার টেরিজা কিছু মাসের জন্য পাটনায় চিকিৎসা প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন। সেখানকার বস্তিগুলিও তিনি ঘুরে দেখেন।
৯. মাদার টেরিজা সারা জীবনে প্রায় ১২০ টিরও বেশি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন যার মধ্যে ‘ম্যাগসাইসাই’, পোপের আছ থেকে ‘Good Samaritan Prize’, ‘কেনেডি আন্তর্জাতিক পুরস্কার’, ‘সোভিয়েত নেহরুল্যান্ড’, ‘ভারতরত্ন’ এবং ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি এইসব পুরস্কারের অর্থ পুরোটাই খরচ করেছেন দুঃখী, দরিদ্র আতুরদের জন্য।
১০. ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে তাঁকে ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট. পিটার স্কোয়ার থেকে 'ক্যানোনাইজড' বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।