নয়া দিল্লি, ২০ জুলাই: বাংলা সহ দেশের মোট ৬টি রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ করা হল। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ডের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও আসছে নতুন রাজ্যপাল। পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল নির্বাচিত হলেন জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankhar)। আজই রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
কেশরীনাথ ত্রিপাঠির পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র উকিল তথা রাজস্থানের প্রাক্তন সাংসদ জগদীপ ধনকরকে বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হল। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১, নবম লোকসভায় রাজস্থান থেকে সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নবনিযুক্ত রাজ্যপাল। চলতি মাসেই রাজ্যপাল হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছিল কেশরিনাথ ত্রিপাঠির। আরও পড়ুন-''গুরুড় গঙ্গার এক কাপ জল খেলে গর্ভবতী মহিলার এড়াতে পারেন সিজার''
Anandiben Patel, Governor of Madhya Pradesh is transferred & appointed as Governor of Uttar Pradesh, Jagdeep Dhankhar as Governor of West Bengal, Ramesh Bais as Governor of Tripura. pic.twitter.com/XQZ1JwSK7X
— ANI (@ANI) July 20, 2019
পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি বিহার, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, নাগাল্যান্ডে ও রাজ্যপাল বদল হল। ত্রিপুরার নতুন রাজ্যপাল হলেন রমেশ ব্যাস। উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল করা হল গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন প্যাটেলকে। যে আনন্দিবেন এতদিন মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল ছিলেন। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আনন্দিবেন। বিহারের রাজ্যপাল লাল জি ট্যান্ডনকে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়া হল। বিহারের নতুন রাজ্যপাল হলেন ফাগু চৌহান। আরএন রবিকে নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল করা হচ্ছে।
President of India is pleased to make the following appointments:
Anandiben Patel as Guv of Uttar Pradesh
Jagdeep Dhankhar as Guv of West Bengal
Ramesh Bais as Guv of Tripura
Lal Ji Tandon as Guv of Madhya Pradesh
Phagu Chauhan as Guv of Bihar
R. N. Ravi as Guv of Nagaland.
— Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) July 20, 2019
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় রাজ্যপালের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সু সম্পর্কের বজায় রাখার পাশাপাশি আইনগত ও সাংবিধানদিক থেকে দক্ষ কাউকেই দিদির বাংলার জন্য চাইছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টের দুদে আইনজীবী জগদীপ ধনকরকে এনে মোদি সরকার কোনও বার্তা দিতে চাইল কি না সেটা নিয়ে চর্চা চলছে।