কলকাতা, ২১ অক্টোবর: আবেদন খারিজ ‘ফোরাম ফর দুর্গাপুজো’-র। দর্শকশূন্যই থাকবে পুজো (Durga Puja 2020) মণ্ডপ, আগের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HC)। তবে আজকের রায়ে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে শীর্ষ আদালত। মণ্ডপে ঢোকার ক্ষেত্রে দেওয়া হল কিছুটা ছাড়। এবিপি আনন্দর খবর অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের বেঞ্চ বলেছে, "বড় পুজোয় প্রবেশের জন্য ৬০ জনের তালিকা বানাতে হবে। ৬০ জনের তালিকা হলেও একসঙ্গে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ৪৫ জন। ৩০০ বর্গ মিটারের কম মাপের মণ্ডপের জন্য ১৫ জনের তালিকা। ১৫ জনের তালিকা হলেও একসঙ্গে থাকতে পারবেন ১০ জন। উদ্যোক্তা ও স্থানীয়দের নামের তালিকা রোজ আপডেট করা যাবে।" বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের আরও নির্দেশ, করোনা বিধি মেনে নো এন্ট্রি জোনে মণ্ডপর বাইরে থাকতে পারবেন ঢাকিরা। সিঁদুর খেলাতেও অনুমতি দিল না আদালত।
সোমবারহ দর্শক শূন্য থাকবে পুজো মণ্ডপ (Puja Mandap)। প্রতিটি পুজো মন্ডপ থাকবে কন্টেইনমেন্ট জোন। প্যান্ডেলের মধ্যে বাইরের লোকের ঢোকা নিষেধ বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের সমস্ত ছোটো বড় পুজোর প্যান্ডেলেই 'নো এন্ট্রি' জানালো হাইকোর্ট। প্যান্ডেল এরিয়ায় থাকবে ব্যারিকেড। লেখা থাকবে নো এন্ট্রি জোন। ছোটো মণ্ডপের ৫ মিটার এবং বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১০ মিটারের মধ্যে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। মণ্ডপে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি নয়। আগে থেকে উদ্যোক্তাদের নামের তালিকা দিতে হবে। যে ৩৪ হাজার কমিটি অনুদান নিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকে হলফনামা দিতে হবে।আরও পড়ুন: 'No Entry' for Visitors in Durga Puja Pandals: ছোট বড় সমস্ত পুজো প্যান্ডেলে 'নো এন্ট্রি'-র নির্দেশ হাইকোর্টের
এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে পুজো কমিটিগুলি। আজ শুনানি শুরু হলে কলকাতার দুর্গাপুজো কমিটিগুলির যৌথ ফোরামের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তারা কোনও ছাড় চাইছেন না। শুধু মণ্ডপগুলোতে যেন স্থানীয়দের সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয়। যাতে তাঁরা পুজো দিতে পারেন। তাঁদের প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা পথ থাকবে। কিন্তু আদালত সরাসরি সেই আবেদন মেনে নেয়নি। তবে জানিয়েছে, পুজো কমিটির ৬০ জনের তালিকা রোজ পরিবর্তন যোগ্য।