কলকাতা, ৩ জুলাই: গতকাল, শুক্রবার রাতে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী তীর্থ সিং রাওয়াতের (Tirath Singh Rawat) পদত্যাগের পর বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। উত্তরাখণ্ড নির্বাচনের বছরখানেক আগে ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতকে সরিয়ে রাজ্যের সাংসদ তীর্থ সিং রাওয়াতকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তীর্থ সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদে জিততে হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিধায়ক পদে জিততে আসতে হত। সেই মত ১৮ জুন উত্তরাখণ্ডের সল্ট বিধানসভায় উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেইখান থেকে জিতে এসেই মুখ্যমন্ত্রী পদ পাকা হত তাঁর। কিন্তু এখন করোনা পরিস্থিতিতে (Covid Situtaion) ভোট করা সম্ভব নয় বলে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তীর্থ সিং রাওয়াত পদত্যাগ করেন বলে সরকারী সূত্রে জানানো হয়। যদিও রাজ্যের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি-র অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই ভোটের আগে তীর্থকে সরিয়ে দলকে একজোট করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নেয়।
উত্তরাখণ্ডে রাজনৈতিক ডামাডোল তুঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিং রাওয়াত কিছুক্ষণ আগে পদত্যাগ করায়। বাংলায় নির্বাচন কমিশন কবে উপ নির্বাচন করবে বলে জল্পনা চলছে। নানা সংশয়। বিজেপির তীরথ কিন্তু 'বলি' হলেন কমিশনেরই সিদ্ধান্তে। #TirathSinghRawat #Uttarakhand
— Rupayan Bhattacharya (@rupayanb) July 2, 2021
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ঐতিহাসিক সাফল্য পেলেও নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Baneree)। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে ৬ মাসের মধ্যে মমতাকে কোনও আসন থেকে উপনির্বাচনে জিততে আসতে হবেই। সেই মতই মমতার ঘরের কেন্দ্র ভবানীপুর আসন থেকে জেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। কিন্তু করোনা কালে উত্তরাখণ্ডে উপনির্বাচনে সম্ভব না হলে, বাংলায় হবে কী করে! সেক্ষেত্রে মমতার মুখ্যমন্ত্রী থাকা মুশকিল হয়ে যাবে। এই প্রশ্নচিহ্নের মাঝে অবশ্য ভবানীপুর সহ রাজ্যের সাত বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হল। জল্পনা শুরু হয়েছে, রাজ্যে ক মাসের মধ্যেই উপনির্বাচন হওযার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাজ্যের শূন্য দুই রাজ্যসভা আসনে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করা সম্ভব কি না। যার জবাবে শুক্রবার নবান্ন জানায় শুধু রাজ্যসভা নয়, ৭টি বিধানসভার উপনির্বাচনও করা সম্ভব। যদিও রাজ্য সরকারের উত্তর পাওয়ার আগেই উপনির্বাচনের বিষয়ে উদ্যোগী হতে শুরু করেছে কমিশন। দক্ষিণ কলকাতার গোপালনগরে সার্ভে বিল্ডিংয়ে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ইভিএম ও পোস্টাল ব্যালট পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। মূলত দক্ষিণ কলকাতার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে যে সমস্ত ইভিএম (EVM) কাজে লাগানো হয়েছিল, মূলত সেগুলিরই পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।