Bengal CM's Security Breach: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়া হাফিজুল মোল্লার সঙ্গে বাংলাদেশ যোগ? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা
Mamata Banerjee (Photo Credit: ANI/Twitter)

কলকাতা, ১৪ জুলাই: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বাড়িতে ঢুকে পড়া হাফিজুল মোল্লার (Hafizul Mollah) সঙ্গে বাংলাদেশ যোগ (Bangladesh Link) খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বিশেষ তদন্তকারী দল মোল্লার কাছ থেকে ১১টি মোবাইল সিম কার্ড পেয়েছে, যার মধ্যে একটি বাংলাদেশের রেজিস্ট্রেশন করা। কলকাতা পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের এই বিশেষ সিমটি মোল্লা ব্যবহার করেছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ছবি পাঠাতে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে থাকা লোকজনকে ছবি পাঠাত মোল্লা। ঠিক এই কারণেই মোল্লার সঙ্গে বাংলাদেশ-ভিত্তিক কোনও আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনের সম্পর্ক আছে কি না তা নিয়ে তদন্তকারীদের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

লালবাজারের এক পুলিশ কর্তা বলেন, "আমরা এই দিকে কিছু নির্দিষ্ট সূত্রে কাজ করছি, যা আমরা এখন তদন্তের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করতে পারছি না।" হাফিজুল মোল্লার আইনজীবী আদালতে বারবার দাবি করে আসছেন যে তাঁর মক্কেল মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তবে হাফিজুলের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখে মোটেই বিষয়টি হালকা ভাবে নিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ও তার আশপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার রেইকি করেছিল হাফিজুল। আর সেটাই মাথাব্যথার কারণ।

এক পুলিশ কর্তা বলেছেন, "ধৃতের সমীক্ষা পদ্ধতির একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন ছিল। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের দিকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত বেশ কয়েকটি লেন এবং বাইলেন রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং তার স্বীকারোক্তি থেকে এটি স্পষ্ট যে সে এই লেন ও বাইলেনগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখেছিল। স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে সে বন্ধুত্ব করেছিল। তাদের চকলেট ও কোল্ড ড্রিংক অফার করে সে। এই সার্ভের প্যাটার্ন মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়। বরং এই সমীক্ষার পিছনে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন এবং উদ্দেশ্য ছিল।" আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: বৃহস্পতি ও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

বাড়িতে অনুপ্রবেশের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাজ্যের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিকিউরিটির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিবেক সহায়কে (Vivek Sahay)। তাঁর জায়গায় নতুন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিকিউরিটি হয়েছেন পীযূষ পাণ্ডে (Piyush Pandey)। আর অতিরিক্ত ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিকিউরিটি করা হয়েছে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে (Manoj Verma)।