ঘাটাল, ১৩ নভেম্বর: বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল মান অভিমানের পালা। দলে থেকেও যেন দলের বাইরের মানুষের মতোই কাটাচ্ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর কয়েক মাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন। এই মুহূর্তে যদি সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ পায় তাহলে মানুষের কাছে কী বার্তা পৌঁছাবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে তা যেমন শুভ নয়, তেমনই দলের পক্ষেও সুখকর নয়। ভয়টা জমছিল শুভেন্দুকে নিয়েই। তিনি কী দলবদলের রাজনীতিতে অংশীদারী নিতে চলেছেন? তাই নিয়েই চলছিল জল্পনা কল্পনা। যাইহোক প্রশান্ত কিশোর মধ্যস্থতায় সেখানে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বহুদিন বাদে ঘাটালের সমাবেশ মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফের তৃণমূলকে ‘আমাদের দল’ বললেন শুভেন্দু।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উচ্চারণ না করেই নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারের জন্য দলনেত্রীকে ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের কাঁথিতে আগমনই যে তৃণমূলের রাজনৈতিক মানচিত্রে নয়া সমীকরণ আনল তাতে কোনওরকম সন্দেহ নেই ওয়াকিবহাল মহলের। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আচমকা কাঁথি শহরের হাতাবাড়ি এলাকায় শুভেন্দুর বাড়িতে সটান হাজির হন প্রশান্ত। তবে এ দিন একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে জেলার বাইরে রয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাই বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গেই সাক্ষাৎপর্ব সেরে নেন প্রশান্ত কিশোর। এর পর রাত পৌনে ১০টা নাগাদ অধিকারী বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রশান্ত। দু’জনের মধ্যে ঘণ্টা দেড়েক কথাবার্তা হয়। তবে আলোচনায় ঠিক কী কী বিষয় উঠে এসেছে তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই। এমনকী, অধিকারী বাড়ি ছেড়ে বেরনোর সময় সাংবাদিকদেরও এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন-Twitter Removes Amit Shah's Profile Picture: কপিরাইট লঙ্ঘনের দায়ে টুইটার সরিয়ে দিল অমিত শাহর ডিপি, কী হল তারপর?
এ দিনই ঘাটালের সভায় জনতার উদ্দেশে শুভেন্দু বার্তা দেন, আপনাদের সঙ্গে ছাত্রাবস্থায় ছিলাম। আজ আছি। ভবিষ্যতেও থাকব। আমরা এগোব, অন্যরা দেখবে আর কাঁদবে। ট্রাকগুলো যায় দেখেছেন, পিছনে লেখা থাকে, দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি! এদিকে, আবার নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন,''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।''