ওয়ানড, ১১ ফেব্রুয়ারি: টি-টোয়েন্টি সিরিজে (T-20 Series) ৫-০-এ জিতেছিল ভারত। কিন্তু তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দাপট দেখাল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। ৩-০-এ ওয়ানডে সিরিজ জিতে কিউয়িরা টি-টোয়েন্টিতে হারের বদলা নিল বলেই মনে করছে ক্রিকেটপ্রেমী মহল। ওয়ানডে সিরিজ আগেই হেরে গিয়েছিল ভারত। মঙ্গলবারের মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ ভারতের কাছে ছিল সম্মানরক্ষার। সেই ম্যাচেও ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারতে হল। লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার রান পাওয়ায় ৫০ ওভারে ভারত করেছিল সাত উইকেটে ২৯৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭ বল বাকি থাকতে কিউয়িরা পাঁচ উইকেটে ৩০০ করে ম্যাচ জিতে নেয়।
এদিন টস জিতে কিউয়িরা ব্যাট করতে পাঠায় ভারতকে (India)। ‘টিম ইন্ডিয়া’র ওপেনিং স্লটে রোহিত শর্মার অভাব দেখা যাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে চোট পাওয়ায় ‘হিটম্যান’ ওয়ানডে (Wanad) থেকে ছিটকে গিয়েছেন। তিনি না থাকায় কোহালির দলের ওপেনিং স্লটে অভিজ্ঞতার অভাব। ভাল শুরু করতে পারছেন না ভারতের দুই ওপেনার। এদিনও দ্রুত ফিরে গেলেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল। মাত্র এক রানে বোল্ড হলেন তিনি। স্কোর বোর্ডে তখন ভারতের রান ৮। বিরাট কোহালিও (৯) রান পাননি। আরেক ওপেনার পৃথ্বী শ ৪২ বলে ৪০ রান করে রান আউট হয়ে যান। চাপে পড়ে যায় ভারত। এই অবস্থা থেকে ভারতের ইনিংস গড়ার কাজ করেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। শ্রেয়াস আইয়ার যে চার নম্বরে নেমে ভরসা দিতে পারেন, তা অনেক আগেই বলেছিলেন অনিল কুম্বলে। নিউজিল্যান্ডে শ্রেয়াস দারুণ পারফর্ম করে চলেছেন। আইয়ার ও লোকেশ রাহুল পার্টনারশিপে একশো রান জোড়েন। ৬৩ বলে ৬২ রান করেন শ্রেয়াস। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারি। প্রতিটি ম্যাচে ভারতকে ভরসা জোগাচ্ছে লোকেশ রাহুলের ব্যাট। দল যখনই রান চাইছে তাঁর কাছ থেকে, রাহুলের ব্যাট তখনই চওড়া হয়ে উঠছে। ১১৩ বলে এ দিন ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন। লোকেশ রাহুল যদি জ্বলে না উঠতেন, তা হলে ভারতের স্কোর ভদ্রস্থ দেখাতই না। ব্যাট করে উঠেই রাহুলকে আবার পঞ্চাশ ওভার কিপিং করতে হবে। যে পরিমাণ ওয়ার্কলোড নিচ্ছেন তিনি, তাতে রাহুল দ্রাবিড়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে ক্রিকেটভক্তদের। রাহুলের সঙ্গে মণীষ পাণ্ডে জুটিতে ১০৭ রান জোড়েন। মণীষ খেললেন ৪৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস। রাহুল ফেরার কিছুক্ষণ পরেই আউট হন মণীষ। দু’ জনে ক্রিজে থাকলে আরও রান উঠতেই পারত স্কোর বোর্ডে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভাল খেলা রবীন্দ্র জাদেজা শেষ পর্যন্ত ৮ রানে অপরাজিত থেকে যান। শার্দুল ঠাকুর স্লগ ওভারে ভাল মারতে পারেন। এ দিন মাত্র ৬ রান করলেন তিনি। নবদীপ সাইনি করেন ৮। সব মিলিয়ে ভারত তিনশো রানের গণ্ডিও টপকাতে পারল না সম্মানরক্ষার ম্যাচে। ভারতের রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নির্দয় ছিলেন মার্টিন গাপ্টিল ও নিকোলস। গাপ্টিল ৪৬ বলে ৬৬ রান করে আউট হন। যুজেবন্দ্র চহালের বলে বোল্ড হন গাপ্টিল। তিনি ফিরে যাওয়ার পরে নিকোলস আক্রমণের রাস্তা নেন। ৮০ রান করেন তিনি। আরও পড়ুন: Bangladesh U19 Players Indulge Into A Physical Fight With India U19 Team: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে মাঠেই ভারতীয় দলের সঙ্গে অভব্য আচরণ বাংলাদশের ক্রিকেটারদের (দেখুন ভিডিও)
নিকোলসের ইনিংসে সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারি। তাঁর আগে কেন উইলিয়ামসনকে (২২) আউট করেন চহাল। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচে রান পেলেও তৃতীয় ম্যাচে রস টেলরকে (১২) দ্রুত ফেরান জাদেজা। ১৯ রানে আউট হন জিমি নিশাম। বাকি কাজটা সারেন গ্র্যান্ডহোমি। ২৮ বলে ৫৮ রানের (Run) দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। ৬টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। ল্যাথাম অপরাজিত থেকে যান ৩২ রানে। দাপটের সঙ্গে ব্যাট করায় জিততে সমস্যা হয়নি কিউয়িদের।