Credit: Pixabay

তেঁতুলের টক স্বাদের জন্য গলা ব্যথা কমানোর পাশাপাশি কণ্ঠস্বরকে সুরেলা করতেও সাহায্য করে। কথিত আছে যে তানসেনের কণ্ঠে মাধুর্য এসেছে তেঁতুলের পাতা চিবিয়ে। তেঁতুল উত্তর ভারতে কম ব্যবহার করা হলেও দক্ষিণ ভারতে প্রচুর ব্যবহার হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে খাদ্যতালিকায় তেঁতুল অন্তর্ভুক্ত করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে এড়ানো যায়। তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল পাওয়া যায়, যা শরীরের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে, তাই তেঁতুল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়াও তেঁতুলে অনেক ধরনের প্রোটিন রয়েছে, যা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তেঁতুলে ভালো পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয়।

চিকিৎসকদের মতে, তেঁতুল কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। সাধারণত শীতকালেই হার্ট অ্যাটাকের বেশি ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। শীতে তেঁতুল খেলে কোলেস্টেরল কমে যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমায়। এছাড়া তেঁতুলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলির দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি কমাতে কাজ করে এবং শরীরের কোষগুলিকে রক্ষা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য, শরীরের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া তেঁতুলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়ক। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

চিকিৎসকদের মতে, তেঁতুল শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তেঁতুলে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে। যার কারণে ধমনীতে ব্লকেজের ঝুঁকি কমে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমে। তেঁতুল পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। তেঁতুল হজমের উন্নতিতে সহায়ক। তেঁতুলে কিছু অ্যাসিড রয়েছে যা হজমশক্তি উন্নত করে। তেঁতুল খেলে ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া তেঁতুলে অনেক প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা শরীরের টিস্যুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তেঁতুল খেলে শরীরের টিস্যুগুলি শক্তিশালী হয়।