চকলেট(Photo Credit: Pixabay)

বাচ্চাকে চকলেট( chocolate) বেশি দিওনা, দাঁত একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে, পেটও গোল্লায় যাবে প্রতিবেশিনীর এহেন সাবধানবামী শোনেননি এমন শিশুর মা খুঁজে পাওয়া বেশ দুস্কর। তবুও বাচ্চাদের এক নম্বর পছন্দ সেই চকলেটই। আর বাচ্চাই বা বলি কেন বুড়োরাও চকলেট দেখলে লোভ সামলাতে পারেন না। এককথায় আট থেকে আশি, চকলেট খেতে সবাই ভালবাসি। তবুও চকলেট খেলে রোগ যে পিছু নেবে তানিয়ে কারোর মনেই কোনও সন্দেহ নেই। সেকারণে লুকিয়েচুরিয়ে চকলেট খাওয়া খুবই সাধারণ একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আজ দাঁত খারাপ, কাল পেট খারাপের জন্য যতই চকলেটকে দুষি না কেন, সেই সুইট ব্রাউন একদিন আপনার সহায়হবে জানেন না তো, এবার জেনে নিন।

সায়েন্টিফিক জার্নাল নিউট্রিয়েন্টসের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে চকোলেটে থাকা মূল উপাদান কোকো(COCO)-তে থাকে একটি বিশেষ ধরণের রাসায়নিক। যার নাম পলিফেনলস। এই পলিফেনলসের( polyphenol) মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। আর এইসব উপাদানই মাঝবয়সে শ্রবণশক্তি হারানোর বা কমে যাওয়ার থেকে আপনাকে বাঁচাবে। ৩৫৭৫ জন মাঝবয়সী মহিলা এবং পুরুষকে নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা গিয়েছে যাঁরা চকোলেট খেয়ে অভ্যস্ত তাঁদের কানে শোনার ক্ষমতা বাকিদের তুলনায় অনেকটা ভালো। অতএব গবেষণা এবং সমীক্ষা অনুযায়ী, চকোলেটই নাকি কানে শোনার সমস্যাকে কমাতে সাহায্য করবে।

তাহলে কী দাঁড়াল, চকোলেট খেলে নাকি নষ্ট হবে না আপনার শ্রবণশক্তি। মাঝ বয়সেই কানে কম শোনার প্রবণতাও দেখা যাবে না। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলের( South Korean capital Seoul) একদল চিকিৎসক এই গবেষণা করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে ৪০ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে যাঁরা চকোলেট খান তাঁদের তুলনায় বাকিদের মধ্যে কানে শোনার সমস্যা বেশি। অর্থাৎ চকোলেট যাঁরা খান তাঁরা বুড়ো বয়সেও হিয়ারিং এড ছাড়াই দিব্যি কানে শুনতে পাবেন বা বলা ভালো কানে শোনার যন্ত্রটা বাকিদের তুলনায় কয়েকদিন পরে প্রয়োজন হবে।