প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন উপলক্ষে পালন করা হয় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল জয়ন্তী। ঐক্যের প্রতীক বল্লভভাই প্যাটেলের জীবন এবং অবদান ভারতের একীকরণের পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামে অবিস্মরণীয়। ৫৫০ টিরও বেশি রাজ্যকে ভারতীয় ইউনিয়নে একীভূত করে একটি অখণ্ড ভারতের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন তিনি। তার অনন্য কর্মশৈলী এবং নেতৃত্বের ক্ষমতার কারণে তাকে 'ভারতের বিসমার্ক'ও বলা হয়। ভারতের আয়রন ম্যান নামেও পরিচিত তিনি।
সর্দার প্যাটেল বিশ্বাস করতেন যে ভারতের সমস্ত অংশ ঐক্যবদ্ধ না হলে স্বাধীনতার কোনও প্রকৃত অর্থ থাকবে না। তাঁর নেওয়া এই অভূতপূর্ব উদ্যোগ শেখায় যে ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি। বর্তমান যুগে যখন বিশ্বে বিভাজন ও বিচ্ছিন্নতার প্রবণতা বাড়ছে, তাই সর্দার প্যাটেলের বাণী আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাঁর জীবন থেকে শেখা যায় যে একটি শক্তিশালী ও ক্ষমতায়িত জাতি গঠনের জন্য সকল শ্রেণী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে একতা আবশ্যক। ঐক্য মানে শুধু ভৌগলিক ঐক্য নয়, এর মানে মানসিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যও হওয়া উচিত।
একে অপরের ধারণা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে সম্মান করা উচিত। ব্যক্তি ভেদাভেদ ভুলে একটি শক্তিশালী সমাজ প্রতিষ্ঠা করা উচিত। এই কারণেই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল জয়ন্তীতে পালন করা হয় জাতীয় ঐক্য দিবস। এই দিনে বিভিন্ন রাজ্য, প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থায় সংগঠিত হয় 'একতার জন্য দৌড়', যা এই বার্তা দেয় যে আমরা সবাই এক এবং আমাদের উদ্দেশ্যও এক। সর্দার প্যাটেলের অবদান মনে করিয়ে দেয় যে ভারতের বৈচিত্র্যই এর সবচেয়ে বড় শক্তি এবং এটি রক্ষা করা সকলের কর্তব্য। এই দিনে সবাইকে ঐক্য, অখণ্ডতা ও ভ্রাতৃত্বের জন্য এবং দেশের সেবায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করা উচিত।