ভারতের ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানুয়ারি মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জানুয়ারি মাসেই ভারত তার সংবিধান গ্রহণ করে এবং একটি গণতান্ত্রিক জাতি গঠিত হয়, অন্যদিকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুই মহান নেতাও এই মাসের সঙ্গে যুক্ত। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে পরাক্রম দিবস পালন করে ভারত। পরাক্রম দিবস হল দেশের একজন সাহসী স্বাধীনতা সংগ্রামীর বীরত্বের প্রতি উৎসর্গীকৃত একটি দিন। এই দিনটি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি পালন করা হয় পরাক্রম দিবস। এই দিনটি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্য উৎসর্গীকৃত।

১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন মহান নেতা। স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তিনি। সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পালন করা শুরু হয় পরাক্রম দিবস। নেতাজি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তাঁর বিপ্লবী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অবদানকে সম্মান জানানো এবং দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করা হয় পরাক্রম দিবসে।

২০২১ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পরাক্রম দিবস পালন করার ঘোষণা করে ভারত সরকার। পরাক্রম দিবস পালন করার উদ্দেশ্য হল নেতাজির চিন্তাভাবনা এবং তাঁর আত্মত্যাগকে স্মরণ করা। "আজাদ হিন্দ ফৌজ" (ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী) প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি "জয় হিন্দ" এবং "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব" এর মতো অনুপ্রেরণামূলক স্লোগান দেন সুভাষ চন্দ্র। তাঁর পরিকল্পনা এবং সাহসিকতা, এক নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামকে। তরুণ সমাজকে নেতাজির সাহস, আত্মনির্ভরশীলতা এবং দেশপ্রেম থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার সুযোগ করে দেয় পরাক্রম দিবস।