
আজ, ২৬ আগস্ট, গোটা দেশে পালন করা হচ্ছে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত মাদার টেরিজার জন্মদিন। মাদার টেরিজা তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন দরিদ্র, অসহায় এবং মানবতার সেবায়। ১৯২৯ সালে ভারতে এসে দার্জিলিং-এর সেন্ট টেরেজা স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন মাদার টেরেজা। ১৯৩১ সালের ২৪ মে প্রথম ধর্মীয় ব্রত গ্রহণ করেন তিনি। মিশনারিজ অফ চ্যারিটি, তাঁর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সংস্থা, যা বর্তমানে ১২৩টি দেশে সক্রিয়। মাদার টেরিজা ছিলেন একজন ক্যাথলিক সন্ন্যাসী, যিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন ১৯৪৮ সালে। ১৯৮০ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার 'ভারতরত্ন' পান তিনি।
১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন মাদার টেরিজা। জন্মসূত্রে তাঁর নাম ছিল অ্যাগনেস গোঁঝা বয়াজিজ্জু। তাঁর পিতা পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং খুব ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন। ১৯১৯ সালে মৃত্যু হয় মাদার টেরিজার পিতার। পিতার মৃত্যুর পর মাদার টেরিজার পরিবারে দেখা দেয় আর্থিক সমস্যা। মাদার টেরিজাকে বড় করেছিলেন তাঁর মা, মাদার টেরিজাকে তাঁর মা সবসময় শিখিয়েছেন, 'যা পাও, সবার সঙ্গে ভাগ করে খাও'। মায়ের কথায় ছোটবেলা থেকেই মানবতা জায়গা করে নেয় তাঁর মধ্যে, যার কারণে অল্প বয়স থেকেই মানুষের সেবা করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাদার টেরিজা।
১৯৪৬ সালে দরিদ্র ও অসহায়দের সেবা করার অঙ্গীকার করেছিলেন মাদার টেরিজা। ১৯৫০ সালে নিঃস্বার্থ সেবার জন্য কলকাতায় 'মিশনারিজ অফ চ্যারিটি' প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। নোবেল শান্তি পুরস্কার, ভারতরত্ন, টেম্পটন পুরস্কার, অর্ডার মেরিট এবং পদ্মশ্রীতে ভূষিত করা হয় মাদার টেরিজাকে। ১৯৬২ সালে র্যামন ম্যাগসেসে শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয় মাদার টেরিজাকে। ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং ১৯৮০ সালে ভারতরত্ন দেওয়া হয় তাঁকে। ২০১৬ সালে, সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে তাঁকে 'সেন্ট বা সন্ত' ঘোষণা করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। সাধুর উপাধি পাওয়া প্রথম ভারতীয় মহিলা তিনি। ১৯৯৭ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় মাদার টেরিজার।