তেলঙ্গনায় নতুন অক্সিজেন পেল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী কেসিরাও-কে পুরোপুরি কোণঠাসা করে দক্ষিণের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে তেলঙ্গনায় প্রথমবার ক্ষমতায় আসতে মরিয়া পদ্মশিবির। নভেম্বরে তেলঙ্গনায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমএলসি না উচ্চকক্ষের ভোটে (টিচার্স কেন্দ্র) খাতা খুলল বিজেপি।
তেলঙ্গনা বিধানসভার উচ্চকক্ষে ৩৪ জন সদস্য থাকে। তাঁদের মেয়াদ ৬ বছর। রাজ্য সরকার ১৪ জনকে সরাসরি মনোনীত করেন। ৬ জনকে রাজ্যপাল মনোনীত করেন। আর ৩ জন করে সদস্য নির্বাচিত হন গ্র্যাজুয়েট ও টিচার্স কেন্দ্র থেকে। তেলঙ্গনায় সম্প্রতি হয়ে গেল টিচার্স কেন্দ্র থেক বিধানসভার উচ্চকক্ষের ভোট প্রক্রিয়া। সেখানে ৩টি আসনের মধ্যে এই প্রথম জিতল বিজেপি। আর সেই জয়কে ঐতিহাসিক ব্যাখা করে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ বলে, এবার নভেম্বরে বিধানসভা নির্বাচনে জিততে তৈরি হচ্ছে বলে জানালেন তেলঙ্গনা বিজেপি সভাপতি বান্দি সঞ্জয়। আরও পড়ুন-কেমব্রিজে মন্তব্যের জের, রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ 'খারিজের' দাবি বিজেপি সাংসদের
দেখুন টুইট
This is the first time in the history of Telangana that the BJP won the MLC seat in the Teachers' constituency. This election proves strong anti-incumbency against the BRS, especially among government employees and the educated sections. This election has set the mood for the… https://t.co/eQJ7ufoAAx pic.twitter.com/EC2jifl4ku
— ANI (@ANI) March 17, 2023
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২১- বাংলা বিধানসভার কায়দায় তেলঙ্গনায় ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি। বাংলার মতই তেলঙ্গনাতেও কখনও বিজেপি সরকার ছিল না। বাংলা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মতই ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল চালিয়ে ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় তেলঙ্গনায় ক্ষমতায় আছেন কেসি রাও। মদের দোকানের লাইসেন্সসিং দুর্নীতি কাণ্ডে কেসিরাওয়ের মেয়ে কে কবিতাকে দিল্লিতে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টাকে জেরা করে। বিআরএস (আগে বলা হত টিআরএস)-এর অভিযোগ বিজেপির ষড়যন্ত্রেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই কেসিরাও কন্যাকে জেরা করেছে ইডি।
২০১৪ সালের জুনে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ভাগ হয়ে তেলঙ্গনা রাজ্যের জন্ম হয়। এখনও পর্যন্ত তেলঙ্গনায় একবারই বিধানসভা নির্বাচন হয়। ২০১৮ বিধানসভা ১১৯ সদস্যের তেলঙ্গনা বিধানসভায় ৮৮টি আসনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কেসি রাও