নতুন দিল্লি, ৮ নভেম্বর: দু'জনের সম্পর্কটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী আর লালকৃষ্ণ আদবাণী। মোদী রাজনীতিতে যত এগিয়েছে, ঠিক ততটা পিছিয়েছেন আদবাণী। লালকৃষ্ণ আদবানীকে সরিয়েই বিজেপি-র হাল ধরে খেলা ঘুরিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। মোদী দলে যত সামনের সারিতে এসেছেন, ততই পিছিয়েছেন আদবানী। মোদীর আমলে রাষ্ট্রপতি হতে পারেন আদবানী, এমন জল্পনাও সত্যি হয়নি। সমালোচকরা বলেন, দেশের মসনদে বসার আগে আদবাণীকে কোণঠাসা করাই ছিল মোদীর প্রথম লক্ষ্য। দেশের সিংহাসনে বসার পর আদবাণীকে যতটা কোণঠাসা করার করে দেন মোদী। তবে মোদী কিন্তু বারবার চেষ্টা করছেন খাতায় কলমে যাই হোক, জনসমক্ষে আদবাণীকে নিজের গুরু প্রমাণ করার। আদবানীর ক্ষোভ দূর করার সব বাহ্যিক চেষ্টা করে গিয়েছেন মোদী। তা সে মঞ্চে প্রণাম করাই হোক, বা নিজের আসন ছেড়ে দিয়ে সম্মান দেখানোর
এবারও তেমন করলেন। লালকৃষ্ণ আদবানীর জন্মদিনে নিজে দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে গিয়ে গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে আদবানীর ছায়াতে দাঁড়িয়েই গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মোদী। ২০২২ গুজরাট দাঙ্গার পর দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে আদবানীর সায়ও ছিল। তবে সেসব কিছু হয়নি। গুজরাট সামলে পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন মোদী। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে নিজের ব্লগে ঘুরিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বিজেপির লৌহপুরুষ হিসেবে পরিচিত আদবানী। কিন্তু সেই সব সামলে মোদী বড় জয় পান। আদবানী তারপর আর সেব নিয়ে কিছু বলেননি। আরও পড়ুন-৮ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার ১৬ বছরের কিশোর
দেখুন ছবিতে
Delhi | Prime Minister Narendra Modi visits the residence of senior BJP leader LK Advani to greet him on his birthday. pic.twitter.com/c6R7tFo4kU
— ANI (@ANI) November 8, 2022
কিন্তু ২০০৯ লোকসভায় হারের পর বদলে যায় অনেক কিছু। নরেন্দ্র মোদী গুজরাট ছেড়ে জাতীয় রাজনীতিতে ঢোকেন। ২০১১ সালের পর থেকে আদবানীকে সরিয়ে জাতীয় স্তরে দলের মুখ হয়ে উঠতে শুরু করেন। ২০১৪ দেশের মসনদে মোদীর বসার পর আদবানীকে কার্যত অনিচ্ছার অবসর নিতে হয়। ২০১৯ লোকসভায় আদবানী আর ভোটে দাঁড়াননি। তাঁর কেন্দ্র জিতে মন্ত্রী হন অমিত শাহ।