পাটনা, ৯ ডিসেম্বর: নির্ভয়াকাণ্ডে (Nirbhaya case) দোষীদের ফাঁসি নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাতে। আদালত প্রত্যেক অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে। অন্যদিকে বিহারের পাটনার বক্সার সেন্ট্রাল জেলে ( Buxar jail) চলছে জোর কাজ। সেখানকার আবাসিকরা ওভারটাইম করছে। রাতদিন এক করে কাজ করছে তারা। ভাবছেন নির্ভয়াকাণ্ডের ফাঁসির সঙ্গে পাটনার জেলের কী সম্পর্ক। আসলে সম্পর্ক তো একটা আছেই। না হলে বলছি কেন। আসলে বক্সার জেলে তৈরি হচ্ছে ফাঁসির দড়ি। এই দড়িই চার অপরাধীর ফাঁসির জন্য ব্যবহার করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বক্সার সেন্ট্রাল জেল আগেও ফাঁসির দড়ি সরবরাহ করেছে। ২০০১ সালে সংসদ ভবনে হামলার ঘটনায় দোষী আফজল গুরুর (Afzal Guru) ফাঁসির সময়ও দড়ি তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছিল। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হয় আফজল গুরুর। ফাঁসির দড়ি তৈরিতে বেশ নাম আছে পাটনার বক্সার জেলের। ফাঁসির দড়ি আগে মানিলা দড়ি নামে পরিচিত ছিল। আরও পড়ুন: Citizenship Amendment Bill Debate:নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বলবৎ হলে ইতিহাস হিটলার গুরিয়নের সঙ্গে অমিত শাহকেও স্মরণ করবে, তোপ দাগলেন আসাদউদ্দিন ওয়েসি
বক্সার জেলের সুপারিনটেনডেন্ট (Buxar jail superintendent) বিজয় কুমার অরোরা (Vijay Kumar Arora) বলেন, "আমরা ১০টা দড়ি প্রস্তুত রাখার নির্দেশ পেয়েছি। আমরা জানি না এই দড়ি কোথায় ব্যবহার করা হবে। তবে আমাদের জেল আগেও ফাঁসির দড়ি তৈরি করেছে। অনেক বছর ধরেই তা করছে।" তিনি জানান, একটা দড়ি তৈরিতে তিনদিন সময় লাগে। মেশিনের সাহায্য নেওয়া হয়। অরোরা বলেন, "আমাদের জেল থেকেই আফজল গুরুর ফাঁসির দড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৬-২০১৭ সালে আমরা পাতিয়ালা জেল থেকে অর্ডার পেয়েছিলাম। যদিও কী কারণে দড়ি নিয়ে যাওয়া হয় তা জানি না।"
তিনি আরও জানান, শেষবার একেকটি দড়ি ১ হাজার ৭২৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল। জেলের আধিকারিক বলেন, এই দামে হেরফের হয়ে থাকে। লোহা ও পিতলের দামের হেরফেরে দড়ির দাম ওঠানামা করে। সুপারিনটেনডেন্টের ব্যাখ্যা, "এই দুটি ধাতু দড়িতে খাঁজ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। যাতে গলায় দড়ি একেবারে শক্ত করে আটকে থাকে ও গিঁট যাতে আলগা না হয়ে যায়।" একেকটি দড়ি তৈরিতে পাঁচ থেকে ছ'জন শ্রমিকের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিজয় অরোরা।