১৯১০ সালের ২৬ অগাস্ট যুগশ্লোভিয়ার (অধুনা মেসিডোনিয়া) স্কোপিয়ে শহরে জন্মগ্রহণ করেন মাদার টেরেসা। প্রথমে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল মেরি টেরেসা বোজাক্সিউ। তিনি ছিলেন তাঁর পিতা-মাতার কনিষ্ঠ সন্তান।১৯১৯ সালে মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হন। পিতার মৃত্যুর পরে তাঁর মা তাঁকে রোমান ক্যাথলিক আদর্শে লালন-পালন করেন। ছোটবেলা থেকে তিঁনি ধর্ম সংক্রান্ত কাজকর্ম করতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি ধর্মীয় সন্ন্যাস জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। এর ঠিক ছয় বছর পরে মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করেন এবং যোগ দেন সিস্টার অফ লরেটো সংস্থায়। ধর্ম প্রচারক হিসাবে কাজ শুরু করার পরে তাঁর আর কোনও দিন তাঁর মা ও দিদির সঙ্গে দেখা হয়নি।

টেরেসা প্রথমে ইংরেজি ভাষার শিক্ষক হিসাবে কাজ শুরু করেন এবং এই শিক্ষকতার সূত্র ধরেই তিনি ভারতে আসেন। তবে শিক্ষকতা নয় মাদার টেরেসার ভারতে আগমনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল সমাজসেবা।সমাজসেবা তাঁকে আজও অমর করে রেখেছে।

কেবল সেবা নয়, মানুষকে দাও তোমার হৃদয়। হৃদয়হীন সেবা নয়, তারা চায় তোমার অন্তরের স্পর্শ’— এরকম প্রাণের উক্তি শুধু তিনি মুখেই বলে যাননি, আমৃত্যু আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সারাবিশ্বের মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন মহীয়সী মাদার টেরেসা। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা অবহেলিত অনাথ, মাদার টেরেসা তাদেরই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে উঠেছেন।তার সেই চলার পথের অনুপ্রেরণামুলক বাণী আজ সকালের সূচনাকে সুন্দর ও শুভ করে তুলুক।মাদারের জন্মদিনে লেটেস্টলি বাংলার (Latestly Bangla) সেই বার্তা ছড়িয়ে পরুক এপনার একটা শেয়ারে।

Photo Credit_Latestlymedia.com
Photo Credit_Latestlymedia.com
Photo Credit_Latestlymedia.com
Photo Credit_Latestlymedia.com
Photo Credit_LatestlyMedia.com