লখনউ, ২৪ অক্টোবর: গত সেপ্টেম্বরে রাজ্যের পঞ্চায়েতরাজ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ চৌধুরি দাবি করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে এমন একটিও পরিবার নেই যেখানে শৌচাগার নেই। আর অক্টোবর ঘুরে নভেম্বর আসতে না আসতেই মন্ত্রীর বক্তব্যকেই ভুল প্রমাণ করে দিল সরকারি সমীক্ষা। জলশক্তি মন্ত্রকের (Jal Shakti Ministry) ইউনিভার্সাল স্যানিটেশন কভারেজের তথ্যানুসারে উত্তরপ্রদেশে এখনও ১৪ লক্ষেরও বেশি পরিবার শৌচালয়ের সুবিধা পায়নি। এদিকে মন্ত্রীর ঢালাও সার্টিফিকেটের পরে এই পরিসংখ্যান সামনে আসায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সাফল্য নিয়েও।
উল্লেখ্য, ২০১৮-র অক্টোবরের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে খোলা জায়গায় মলত্যাগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শৌচাগার পেয়েছে প্রতিটি পরিবার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই তথ্যই ভুল প্রমাণ করে দিল সরকারি সমীক্ষা। সেই সমীক্ষাতে দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশে এখনও ১৪ লক্ষ ৬২ হাজার বাড়িতে শৌচাগারই নেই। এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তড়িঘড়ি স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সাফল্য খতিয়ে দেখতে গিয়ে জলসম্পদ মন্ত্রকের ছয় সদস্যের একটি কমিটিকে পাঠানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। গত ১৮ ও ১৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রতিনিধি দল উত্তরপ্রদেশ ঘুরে খতিয়ে দেখেন ঠিক কতটা কার্যকর হয়েছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। তাঁরা খোঁজ নেন, জিয়ো ট্যাগিং টয়লেটের সংখ্যা সম্পর্কে। ২৬ জেলাকে কোন তথ্যের ভিত্তিতে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে, খোঁজ নেওয়া হয় সেই বিষয়েও। প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছিল ৪৪ লক্ষের বেশি পরিবারে এখনও শৌচালয় তৈরি হয়নি। পরে আগস্ট মাসের গণনায় দেখা যায় কিছু শৌচালয় হলেও এখনও ১৪ লক্ষেরও বেশি পরিবার এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আরওপড়ুন-কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে আছড়ে পড়ল সেনা হেলিকপ্টার, ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল
এরপরেই গত ২০ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের স্বচ্ছ ভারত মিশন (Swachh Bharat Mission in Uttar Pradesh) ডিরেক্টর ব্রহ্মদেব তিওয়ারি (Dr Bramhadev Ram Tiwari) মোট ৭৪ জন জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে এই শৌচালয় বিহীন ১৪ লক্ষ ৬২ হাজার পরিবার সম্পর্কে কোঁজ খবর করতে বলেন। এবং সমস্যাটির আশু সমাধানের বিধি ব্যবস্থারও নির্দেশ দেন।