প্রতীকী ছবি (Photo Credit: PTI)

শ্রীনগর, ২৪ অক্টোবর: ফের বিপত্তি প্রায় মরতে মরতে প্রাণ রক্ষা হল। বৃহস্পতিবার জম্মুতে (Jammu) আছড়ে পড়ল ভারতীয় সেনার চপার। বৃহস্পতিবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং-সহ (LT Ranveer Singh) সাত পদস্থ সেনাকর্তাকে নিয়ে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটি উড়েছিল। পরে আচমকাই সেটি পুঞ্চের কাছে সবজিয়ান সেক্টরে আছরে পড়ে। বলা বাহুল্য, এই ঘটনায় কপ্টারের প্রত্যেকেই অক্ষত আছেন। কোনও হতাহতের খবর নেই। প্রাথমিক তদন্তে অনুমাণ, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই সেনাবাহিনীর এমআই-১৭ (MI-17) হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়েছিল। এদিকে হেলিকপ্টারের ভেঙে পড়ার খবর ছড়াতেই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি অকুস্থলে পৌঁছাচ্ছে তদন্তকারী দলও।

কাশ্মীরে এখন ঘটনার ঘনঘটা সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি লঞ্চ প্যাড থেকে মুহুর্মুহু হামলা চালাচ্ছিল। সেই হামলায় ভারতীয় সেনা শহিদ হতেই নড়েচড়ে বসে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এবার রাজনাথ সিংহের মনোবাঞ্ছাই যেন পূর্ণ হল অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জহ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে হামলার প্রতিশোধ নিল ভারতীয় সেনা। সেই হামলায় শুধু ঘাঁটিই নয় জঙ্গিও নিকেশ হয়েছে। মারা পড়েছে পাকসেনাও। এদিকে এতবড় সেনা অভিযান হয়ে গেল অথচ ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকারই করল না পাকিস্তান। তেব এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই বালাকোট হামলার পরেও একই অবস্থান নিয়েছিল পাকিস্তান। আরও পড়ুন-India-Pakistan Sign Kartarpur Agreement: করতারপুর করিডর নিয়ে চুক্তি করল ভারত-পাকিস্তান

উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) ৩৫-এ ধারা তুলে নেওয়ার পর বিশেষ স্টেটাস খর্ব হতেই পাকিস্তান গেল গেল রব তুলে দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। ডাকা পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে এমনকী, ইসলামাবাদে অবস্থিত বারতীয় হাইকমিশনারকে পত্রপাঠ বিদায় করে দিয়েছে। আমেরিকায় গিয়ে কেঁদে পড়ে ভারতের নামে অনুযোগ করে পাকিস্তানের দাবি, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এদিকে ভারত আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ তাই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের নাক গলানো মোটেই পছন্দ নয়। তাই প্রথমে আওয়াজ করেও নির্বাক থেকেছে চিন। তবে ইমরান খান পুলওয়ামা হামলার পুনরাবৃত্তির হুমকি দিতেই সেনাজঙ্গি একেবারে কাঁদে কাঁধ লাগিয়ে তোরজোর শুরু করেছে যেকোনও উপায়ে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে নাশকতা চালাতে তারা বদ্ধপরিকর। তবে ভারতীয় সেনাও অনুপ্রবেশ রুখতে তৎপর। এরমধ্যে করতারপুর করিডর উদ্বোধন হবে, এখন দেখার কী ঘটে।