নতুন দিল্লি, ৫ জানুয়ারি: ১৬ হাজার ৩৭৫ জন করোনা আক্রান্তকে নিয়ে ভারতে মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা (Coronavirus Cases In India) এখন ১ কোটি ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪৫ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ কেস ২ লাখ ৩১ হাজার ৩৬টি। ইতিমধ্যেই করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৯ হাজার ৯১ জন। গতকাল সারাদিনে দেশে করোনার বলি ২০১ জন। ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনার মৃত্যু মিছিলে শামিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫০ জন। গত বছর ২৩ জুনের পর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নিয়ে চারবার দৈনিক সংক্রমণ ১৬ হাজারে আটকে রইল।
দেশের মধ্যে সবথেকে করোনা বিধ্বস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ১১। সোমবার সারাদিনেওই রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ২ হাজার ৭৬৫ জন। করোনার বলি ২৯ জন। মহারাষ্ট্রে করোনয় এখনও পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৬৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতে সবমিলিয়ে করোনাকে হারিয়ে সুস্থতার হার ৯৬.১৬ শতাংশ এবং করোনায় মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণের বেশিরভাগই কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশের। বর্তমান অ্যাকটিভ রোগীর মধ্যে ৬২ শতাংশ রয়েছে মূলত মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, উত্তরপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে। করোনার সংক্রমণের ভয়বহতার মধ্যে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও সেরাম ইনস্টিটিউট উফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিয়েছে। ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যক্সিন বিক্রিরও অনুমোদন মিলেছে। আরও পড়ুন-Adani Wilmar: হৃদরোগে আক্রান্ত মহারাজ, সৌরভ গাঙ্গুলি অভিনীত সমস্ত বিজ্ঞাপনের প্রদর্শন বন্ধ করল আদানি গ্রুপ
প্রথম ব্যাপক হারে যে টিকাকরণ সরকার শুরু করতে চলেছে তাতে ৩০ কোটি জনতার অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি শুধু স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের সবার প্রথমে এই টিকা দেওয়া হবে। এবং প্রথম সারিতে থেকে লড়াই করছেন যাঁরা ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এমন মোট ২ কোটি কর্মীকে দেওয়া হবে করোনার প্রতিষেধক। ২৭ কোটি প্রবীণও এই প্রথম পর্যায়ের টিকাকরণের তালিকায় আসছেন। এর মধ্যে ৫০ এর বেশি বয়সি কোমর্বিডিটির রোগীরা অগ্রাধিকার পাবেন।