গোটা দেশে শারদ উৎসবের ছোয়া লেগেছে ইতিমধ্যেই। দুর্গাপূজা নামেই হোক বা নবরাত্রি নামেই। উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে সকলেই প্রস্তুত। দেশের অন্যান্য রাজ্যের থেকে এই পশ্চিমবঙ্গ বা বলা চলে কলকাতা দুর্গাপুজোর জন্যই বিখ্যাত। দেশের সেরা প্যান্ডেল, সেরা আলোর রোশনাই, চমৎকার বাঙালি খাবার চাখতে এই সময় একবার তিলোত্তমা শহরে যাওয়া চাই। ২০২১ সালে ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। তারপর থেকে শুধু দেশের নাগরিকরা নয় বিদেশী নাগরিকরাও পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলার পুজোয়। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় দেশের আরও কয়েকটি প্রান্ত এই উৎসবে সামিল হয়। আজ দেখে নেওয়া সেই তালিকা-
কুল্লু, (হিমাচল প্রদেশ) :-
পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের মতো এখানে প্যান্ডেল দেখতে পাবেন না, কিন্তু কুল্লু উপত্যকার ধলপুর ময়দানে দশেরার সময় রাবণ বধের উত্সবে বেশ ধুমধাম করে পালন করা হয়।
মুম্বই, (মহারাষ্ট্র) :-
কয়েক বছর ধরে দুর্গাপূজা উপভোগ করার জন্য মুম্বাই অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্থান হয়ে উঠেছে। বাঙালিদের হাত ধরেই এই বাণিজ্যশহরে দুর্গাপুজো শুরু হয়। এখানে কলকাতার মতোই প্যান্ডেল করে উত্সব পালন করা হয়। এই চারদিনের পুজোয় প্যান্ডেল পরিদর্শন করার সময় বলি সেলেবদেরও দেখা মিলতে পারে।
বারাণসী (উত্তরপ্রদেশ)-
দশেরার সময় ধুমধাম করে পালন করা হলেও এই প্রাচীন শহরে দুর্গাপুজোর মাহাত্ম্য রয়েছে। বছরের এই সময় রাম, লক্ষণ, সীতা ও হনুমানের বেশে পোশাক পরে শোভামিছিল করতে দেখা যায়।
দিল্লি-
পুজোর এই চারদিন প্য়ান্ডেলগুলিতে ঠাকুর দেখার জন্য প্রচুর ভিড় হয়। প্যান্ডেলে বাঙালি খাবার চেখে দেখতে পারেন। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি দশেরায় রাবণের কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
গুয়াহাটি (অসম)-
কলকাতার মতো না হলেও এখানেও বেশ ধুমধাম করে দুর্গাপুজো করা হয়। সেরা প্যান্ডেল , সেরা প্রতিমা দেখার জন্য উত্তর-পূর্বের এই শহরে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন।