২০২০, বছরের শেষলগ্নে এসে একবার ফিরে দেখা যাক কী ঘটল দেশে। সিএএ-র বিরোধিতা থেকে কৃষক আন্দোলন, বারবারই মোদি সরকারের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে গোটা দেশ। সিএএ থেকে কৃষি বিল, আন্দোলন-বিক্ষোভের ২০২০। শাহীনবাগ আন্দোলন থেকে কৃষক আন্দোলন। বিশ্বের দরবারে বারবার উঠে এসেছে এই সমস্ত ঘটনাগুলি।

শাহিনবাগ আন্দোলন

২০১৯-র ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হতেই স্পষ্ট হয় ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি! দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও এই বিরোধিতায় সমর্থন জানায়। শাহিনবাগ আন্দোলনের নেপথ্যে জেএনইউ এবং আলিবাগের ছাত্রদের মদত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

দিল্লি থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্য, সিএএ-র প্রতিবাদে সরব

সিএএ-র বিরোধিতায় সরব হয়ে মহিলা এবং শিশুরা যৌথভাবে প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল দিল্লির শাহিনবাগে। টানা ১০ দিন ধরে দাঙ্গা চলে দিল্লিতে, কমবেশি ৫০ জনের মৃত্যু হয় বলে খবর। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাহিনবাগ আন্দোলন কেন্দ্র বিরোধী আগুনের আঁচ ছড়িয়ে দেয় এলাকায়, অবশেষে ভোটবাক্সে জোরাল ধাক্কা খায় বিজেপি। উত্তর-পূর্বের রাজ্য- অসম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, অসমে দীর্ঘ ১ মাস জারি ছিল কার্ফু।

সিএএ-র বিরোধিতায় পশ্চিমবঙ্গ 

উত্তর-পূর্ব ভারতের লাগোয়া বাংলার একাধিক জেলায় সিএএ বিরোধিতার আঁচ এসে পড়ে।মালদা, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুরেও শুরু হয় বিক্ষোভ, লালগোলায় ১০টি ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, ভাঙচুর চলে টিকিট কাউন্টারেও। কংগ্রেস, আরজেডি, তৃণমূল কংগ্রেস সকলে একত্রভাবে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়। গোটা দেশজুড়ে সিএএ-র বিরোধিতায় আন্দোলনে নামেন সাধারণ মানুষ; পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটান, চিন থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

কৃষিবিল পাস

রাজ্যসভায় ‘কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত রাখতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’ বিল পাস হয়, ধ্বনি ভোটে পাশ করানো হয় বিলটি। কৃষি বিলের নতুন সংশোধনী লোকসভা অধিবেশনের দুই কক্ষেই পাশ হয়ে যায়। কৃষি সংক্রান্ত যে তিনটি বিল পাশ করানো হয়েছে, এরমধ্যে রয়েছে- কৃষকদের উৎপাদন ব্যবসা ও বাণিজ্য (প্রচার ও সুবিধাদি) বিল, ২০২০, কৃষকদের (ক্ষমতায়ন এবং সুরক্ষা) মূল্য আশ্বাস এবং খামার পরিষেবার চুক্তির বিল, ২০২০ এবং অত্যাবশ্যক পণ্য (সংশোধনী) বিল, ২০২০।

কৃষক আন্দোলন

কৃষি বিল পাশ হতেই এটির বিরোধিতায় পঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকেরা বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সরব হন। উত্তর থেকে দক্ষিণ সমস্ত জায়গাতেই মোদি সরকারের কৃষি আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছে কৃষকেরা। ভারত বনধ, অনশন এবং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন কেন্দ্রের এই নয়া নীতির বিরুদ্ধে।