দিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কৃষক বিরোধী নীতিতে বেজায় চটেছেন উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। এনিয়ে রাজ্যের উত্তরাংশের কৃষকরা নয়ডা ও গাজিয়াবাদে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। শোনা যাচ্ছে বিক্ষুব্ধদের একাংশ পদযাত্রা (march) করে দিল্লির কিষাণ ঘাটে (Kisan Ghat) আসবেন। মূলত বিজেপির কৃষক বিরোধী নীতির প্রতিবাদেই এই আন্দোলন হচ্ছে। কৃষকদের আখের ফলন থেকে পাওয়া টাকা কিছুতেই সরকারের ঘরে যেতে পারে না, এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০০ জন কৃষক এক সঙ্গে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ২০০ জন এসেছেন সাহারানপুর থেকে। কৃষকদের দাবিদাওয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বকেয়া ঋণ মকুব করতে হবে, ফসলের ন্যায্য দাম যাতে কৃষকরা পায় তা সরকার ঠিক করে দেবে।
জানা গিয়েছে, ভায়া নয়ডা হয়েই উত্তরপ্রদেশে থেকে আসা কৃষকের দলটি রাজধানীতে ঢুকবে। সম্ভবত আগামী কাল শনিবার পদযাত্রাটি রাজধানীতে পৌঁছাবে। তারপরই নিজেদের দাবিদাওয়া সম্পর্কিত বিশদ রিপোর্টটি মোদি সরকারের সামনে তুলে ধরবে। গত ১৭ তারিখে সাহারানপুরে রাষ্ট্রীয় কিষাণ সংগঠনের অধীনে রাষ্ট্রীয় কিষাণ যাত্রার সদস্যরা বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেছেন। সবমিলিয়ে ১৬টি দাবি পূরণের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে এই আন্দোলন, প্রথমত সবকিছুর দাম বর্তমানে আকাশছোঁয়া। সরকার চাইলে কৃষকরাও ফসলের ন্যায্য দাম পেতে পারেন। উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম থেকে শুরু করে চাষের কাজে ব্যবহৃত ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম কমানো ও আখ চাষের যে ঋণ মকুব সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য দাবি। গাজিয়াবাদ, শামলি, মুজাফ্ফরনরগ ও বাঘপত থেকে আসা কৃষকরা শুক্রবার দুপুরেই দিল্লির (Delhi) উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করবেন। এদিকে বৃহস্পতিবারই কৃষকদের একটি দল তাঁদের ট্রাকটর-সহ চাষের সরঞ্জাম নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েচে। মূলত ট্রাফিকে চাপেই আগেভাগে রওনা হতে হয়েছে। আরও পড়ুন-তীব্র গ্যাসের গন্ধে রাতভর আতঙ্কে মুম্বই, চেম্বুর গ্যাস প্ল্যান্টে লিকেজ, জানাল বিএমসি
এদিকে এই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে বেশ সতর্ক নয়ডার পুলিশ প্রশাসন। নয়ডা শহরের এসপি বিনীত জয়সওয়াল বলেছেন, কৃষকরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ফিরে যেতে পারে তারজন্য বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা হলে তো সমস্যা নেই। কিন্তু তার সঙ্গে যদি এখন চাষিরা ট্রাকটর নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তবে বিপত্তির শেষ থাকবে না। আর নয়ডা পুলিশ ট্রাকটর নিয়ে পদযাত্রার অনুমতি দেবে না।